• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯, ০২:১২ পিএম

মরণ ফাঁদে পরিণত তিন সেতু

মরণ ফাঁদে পরিণত তিন সেতু
দামুড়হুড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙ্গা সেতু। ছবি- জাগরণ

 

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সাতটি সেতুর মধ্যে মাথাভাঙ্গা নদীর উপর সেতু, গলাইদড়ি সেতু ও হেমায়েতপুর বরিক সেতু মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত ভারী যানবাহন চলাচল করছে এ সেতুর উপর দিয়ে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত সেতুর দুই পাশ্বের রেলিং কয়েক জায়গায় ভেঙে রড বেরিয়ে যাওয়ার পর মেরামত করা হলেও ঝুকিপূর্ণ চিহিৃত করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইব্রাহিমপুর মেহেরুন শিশুপার্ক, শীবনগর ডিসি ইকোপার্ক, আটকবর নামক স্থানে রয়েছে আট শহীদের স্মৃতি স্তম্ভ কমপ্লেক্স ভবন ও ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্থান এই সেতুটি একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম।

এদিকে, দর্শনা-মুজিবনগর সড়কে মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত গলাইদড়ি সেতুটি বছর দেড়েক আগে পাটাতন ও নিচের গার্ডারের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় কয়েকবার মেরামত করেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে পারপার হচ্ছে শত শত ছোট-বড় যানবাহনসহ হাজার হাজার মানুষ। সেতুটি প্রশস্ততা কম হওয়ায় একটি বাস, ট্রাক বা অন্য কোন গাড়ি উঠলে অপরদিক থেকে আসা যানবাহনকে সামনের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বর্তমানে এটির উপর দিয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি পরিবহন সংস্থার প্রায় অর্ধশতাধিক ঢাকাগামী কোচ, আঞ্চলিক রুটের বাস, পণ্যাবহী ট্রাকসহ শত শত যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করে থাকে।

অপরদিকে, দীর্ঘদিনের পুরানো হোগলডাঙ্গা-ভগিরতপুর সড়কের হেমায়েতপুর বারিক খালি নামক স্থানের সেতুটি ও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেতুটির ডান পাশের রেলিং এর ঢালাই নিচের অংশ ভেঙে পড়ে রডের উপর দাঁড়িয়ে আছে। পাশের রেলিং উভয় মুখে ভেঙ্গে পড়েছে তাছাড়াও উপরের অংশে নানা খানাখন্দে ভরে গেছে। ঝুকিপূর্ণ এর উপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত ভারী যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। এটিও যেকোন সময় ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দামুড়হুদা উপ-সহকারী প্রকৌশলী খালিদ হাসান জানান, দামুড়হুদা মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত সেতুটির স্থলে ফুটপথসহ ডবল লেনের সেতু নির্মাণের সমস্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে শুধুমাত্র উদ্বোধনের অপেক্ষায় পালা। তাছাড়াও প্রায় প্রতিটি সেতু চলাচলের উপযোগী করে মেরামত করেছি। নতুন করে সেতু নির্মাণের বরাদ্দ আসলে ধাপে ধাপে তৈরি করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।

কেটি