• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯, ০৯:০৫ এএম

ফেব্রুয়ারিতেই শুধু কদর বাড়ে ভাষা শহীদ রফিকের পরিবারটির

ফেব্রুয়ারিতেই শুধু কদর বাড়ে ভাষা শহীদ রফিকের পরিবারটির
ভাষা সৈনিক শহীদ রফিকের বাসস্থান- ছবি: জাগরণ


১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের অন্যতম ভাষা সৈনিক শহীদ রফিক। তার স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে যারা বেঁচে আছেন, কেমন আছেন তারা? খোঁজ নেয়ার কেউই নেই তাদের। কয়েকটি যুগ পার হলেও আজও তার স্মৃতি রক্ষায় ও সংরক্ষণে নেই কোনো উদ্যোগ। বাড়ির ঐতিহ্য রক্ষার্থে শহীদ রফিকের ছোট ভাই আব্দুল খালেকের স্ত্রী গোলেনূর বেগম, ছেলে শাহজালাল বাবু, তার স্ত্রী এই বাড়িতে বসবাস করছেন। শুধু মাত্র ভাষার মাস এলেই এই পরিবারটির কদর বাড়ে।

গোলেনূর বেগম বলেন, এই বাড়ির স্মৃতি রক্ষায় আমাকে এখানে থাকতে হচ্ছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেসব মানুষ এসে শহীদ রফিক সম্পর্কে তথ্য চাচ্ছেন তা দিতে দিতেই আমি ক্লান্ত। রফিকের একমাত্র জীবিত ভাই খোরশেদ আলম মানিকগঞ্জ সদরে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত বাড়িতে থাকেন। আমি আজ অসুস্থ। সবাই আসেন সাহায্যের আশ্বাস নিয়ে। কেউ আমাদের খবর রাখেন না। শুধু ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমাদের কথা মনে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, অন্য ভাইয়ের সন্তানাদী ঢাকায় বসবাস করেন। রফিকের বাড়ির পাশেই এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি লে. কর্নেল অব. মুজিবর ইসলাম খান তার বাড়িতে শহীদ রফিক দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০০৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে এখানে বিনামূল্যে এলাকার দরিদ্রদের চিকিৎসা ও সেবা প্রদান করা হয়। প্রতি মাসে দুদিন এখানে ওষুধপত্র বিতরণ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের আরেক সৈনিক পারুলের প্রবীণ নাইবউদ্দীন বলেন, সরকার যদি প্রথম থেকেই ইতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণ করতো তাহলে আজ ভাষা আন্দোলনের এত বছর পর পারুলে অনেক কিছুই সম্ভব হতো।

শহীদ রফিকের ছোট ভাইয়ের ছেলে শাহজালাল ওরফে বাবু বলেন, আমার চাচা ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ কারণে দেশবাসী সহ বিশ্ব তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাই আমি তার পরিবারের সদস্য হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে করি। তাইতো এখনও চাচার পাঞ্জাবি, পড়নের লুঙ্গি সংরক্ষণ করে রেখেছি।

সময়ের স্রোতে একদিন সব বিলীন হয়ে যাবে কিন্তু রফিক নামের অনির্বাণ শিখা জ্বলবে বাঙালির বর্ণমালায়, বিশ্ব স্মরণ করবে তাদের, জাতি শ্রদ্ধাভরে গর্ব করবে চিরকাল।

টিএফ