• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯, ০৯:৫৮ এএম

ভাগ্য উন্নয়নে টার্কি

ভাগ্য উন্নয়নে টার্কি

 

কুড়িগ্রামে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে টার্কি পালন। জেলার বেকাররা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের সম্ভাবনা খুঁজছে টার্কিতে। তবে দেশি বা ব্রয়লার মুরগির মতো স্থানীয়ভাবে টার্কির বাজার গড়ে না উঠায় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে খামারিদের।

স্বল্প সময়ের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় গড়ে উঠেছে ২৫ টি বাণিজ্যিক খামার। শুধু তাই নয়, ছোট ছোট আরো শতাধিক খামারের পাশাপাশি কিছু কিছু বাড়িতে স্বল্প পরিসরে পালিত হচ্ছে টার্কি। তবে সঠিক বিপণন ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদিত টার্কির ব্যবসা মধ্যস্বত্বভোগিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। টার্কির খামার গড়ে তুলে সফলভাবে উৎপাদন শুরু করলেও তা বিক্রি করতে নির্ভর করতে হচ্ছে ঢাকা বা চট্রগ্রামের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের উপর। যার ফলে কম দামে টার্কি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা।

কুড়িগ্রাম শহরের পাশে ধরলা সেতুর পূর্বপ্রান্তে টার্কির বাণিজ্যিক খামার গড়ে তুলেছেন তরুণ আব্দুল মজিদ রিপন। শুরুতে খুলনা থেকে একশ টার্কির বাচ্চা এনে লালন-পালন শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে বেড়ে উঠছে চার শতাধিক টার্কি।

রিপন জানান, খামারে চার থেকে পাঁচ মাসেই টার্কির বাচ্চা পূর্ণাঙ্গ রুপ নেয়। একেকটি টার্কি লালন-পালনে সব মিলিয়ে খরচ পড়ে ৮শ থেকে ৯শ টাকা। একেকটি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। ইনকিউবিটরের মাধ্যমে ডিম থেকে এখন টার্কির বাচ্চাও উৎপাদন করছেন তিনি।

তিনি বলেন, টার্কি লালন-পালনে বড় ধরনের কোনো ব্যাঘাত না ঘটলে দ্বিগুণ লাভ সম্ভব। আর উৎপাদিত টার্কির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে প্রতিটি বাচ্চা পাইকাররি ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মোঃ আব্দুল হাই সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেলার আবহাওয়া টার্কি পালনের উপযোগী হওয়ায় টার্কি উৎপাদনে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এবং বেকাররা নিজ উদ্যোগেই টার্কির খামার গড়ে তুলছেন। আমরা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে টার্কি পালনকারীদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছি।

তিনি আরও বলেন, শাকসব্জি, ঘাস ও বিভিন্ন উদ্ভিদের পাতা টার্কির প্রধান খাবার। আচরণে এরা বোকা প্রকৃতির হওয়ায় এদের নিরাপত্তার ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় খামারিদের। তবে সরকারিভাবে সঠিক বিপণন ব্যবস্থা থাকলে এই টার্কি পালন করেই স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।

সাইসে