• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯, ১১:১০ এএম

টেকনাফে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত

টেকনাফে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত

 

কক্সবাজারের টেকনাফে আটকের পর অভিযানে গেলে বিজিবি ও ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে কথিত ‘বন্দুক যুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং স্লুইচ গেইট সংলগ্ন খালের পাশের এলাকার কেওড়া বাগানের ভেতরে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর সদস্যরা।

নিহত রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীর নাম জাফর আলম। তিনি নোয়াপড়া মুছনী ক্যাম্পের শালবাগান এ ব্লকের রুম নং-১৮০/৫ এর দ্বীন মোহাম্মাদের ছেলে।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা রাতে বিজিবি সদস্যরা জাফরকে আটক করে। আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, পরের দিন (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে সাবরাং ইউপিস্থ ৫ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর নায়েব সুবেদার মো. তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহলদল ওই এলাকায় প্রবেশ করে সেখানে ঔঁৎ পেতে থাকে। এ সময় ৫ নং স্লুইচ গেইট সংলগ্ন খাল দিয়ে একদল চোরাকারবারি সীমান্তে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ সময় চোরাকারবারিরা টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে টহলদলের ২ সদস্য আহত হয়। এ সময় বিজিবি টহলদল আত্মরক্ষার্থে আনুমানিক ২০-২৫ রাউন্ড পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি শান্ত হলে টহল দলের সদস্যরা এলাকা তল্লাশি করে খালের পার্শ্ববর্তী এলাকা কেওড়া বাগানের ভেতরে জাফরের ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় ওই স্থান থেকে আনুমানিক ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
 
আছাদুদ জামানা চৌধুরী আরও বলেন, আহত দুই বিজিবি সদস্য ল্যা. নায়েক মো. আব্দুল আলীম ও সিপাহী মো. আব্দুল আউয়াল টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

এর আগে মাদক বিরোধী অভিযানে টেকনাফে ৪০ জন মারা পড়েছেন। এর মধ্যে ৩৭ জন টেকনাফের বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা।

এএস