• ঢাকা
  • শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০১৯, ১১:১৩ এএম

টেকনাফে পৃথক বন্দুক যুদ্ধে ৪ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

টেকনাফে পৃথক বন্দুক যুদ্ধে  ৪ মাদক ব্যবসায়ী নিহত
প্রতিকী ছবি

 

কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুক যুদ্ধে ৪ মাদক ব্যবসায়ী  নিহত হয়েছেন। তবে বিজিবি ও পুলিশ জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) ভোররাতে সাবরাং ও হোয়াইক্যংয়ে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, ভোররাতে সাবরাং ইউপির পুরাতন মগপাড়া কাঁকড়া প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে নায়েক সুবেদার মোহাম্মদ শাহ আলমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল ওই এলাকায় যান।   এ সময় চোরাকারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি চালায়। এতে ইয়াবা ব্যবাসায়ীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে দু’জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে পরে থাকতে দেখা যায়। পরে আহত ব্যক্তিদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ১ লাখ পিস ইয়াবা, একটি দেশিয় তৈরি এলজি ও একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায়  মো. ইমরান হোসেন নামে এক বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  মৃত ব্যক্তিদের  শিগগিরই শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এদিকে  হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দীপঙ্কর রায় জানান, শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফ থানা পুলিশ জানতে পারে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া বট্টলী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো একদল ডাকাত। এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে একদল অস্ত্রধারী পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এতে চৌধুরী পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে ডাকাত নজির আহমদ (৩০) ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার জাকারিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের  উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় অস্ত্রধারীদের গুলিতে টেকনাফ থানা পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি এলজি, ৬ হাজার পিস ইয়াবা, নয় রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও তেরটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তবে গিয়াস উদ্দিনের স্বজনদের দাবি, তাকে বেশ কয়েকদিন আগে আটক করা হয়।

এসসি/বিএস