• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০১৯, ০১:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৩, ২০১৯, ০২:০৩ পিএম

নাটোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ মামলার আসামি নিহত

নাটোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ মামলার আসামি নিহত
নিহত শুটার মানিক ওরফে সুমন -ছবি : জাগরণ

নাটোরের লালপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কলেজ ছাত্র আল আমিনের হত্যাকারী ও ডাকাতিসহ ১৫র অধিক মামলার আসামি শুটার মানিক ওরফে বাসু মানিক ওরফে সুমন (৪৮) নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ের এই তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সংঘঠিত হয়। 

নিহত মানিক পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পূর্বটেংরী শেরপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, গত ৫ জুলাই বড়াইগ্রামে কলেজছাত্র আল আমিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার পর তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেই চক্রের সদস্য শুটার মানিককে শুক্রবার পাবনার রূপপুর থেকে আটক করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঈশ্বরদীর একটি বাড়ি থেকে আল আমিনের ছিনতাই হওয়া মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শুটার মানিক লালপুরের অলোক বাগচিকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ও এক চালককে গুলি করে তার অটো ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার সহযোগীরা শুক্রবার রাতে লালপুরে ডাকাতি করবে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে অন্য সহযোগীদের ধরতে শুক্রবার রাতে নাটোরের লালপুপুরে উদ্দেশ্যে পুলিশ রওনা হয়। পথিমধ্যে উপজেলার তোফাকাটা মোড় এলাকায় পুলিশের ওপর মানিকের সহযোগীরা হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এই সুযোগে মানিক পালানোর চেষ্টাকালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে মানিকের সহযোগীরা পিছু হতে এবং পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে পুলিশ লালপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চার রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলির খোসা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কার্টার, হাতুরি, টর্চ লাইট ও লোহার রডসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, নিহত মানিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পাবনার ঈশ্বরদীর আলহাজ মোড় মাদ্রাসা হাট এলাকা থেকে চরগড়গড়ি গ্রামের ইয়াসিন মীরের ছেলে বাসিদ মীরকে আটক এবং আল আমিনের ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী, লালপুর, বড়াইগ্রাম সহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই ও দস্যুতাসহ ১৮ টি মামলা রয়েছে। তার অপর সহযোগীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে বড়াইগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হারুনর রশীদ,ডিবি পুলিশের ওসি সৈকত হোসেন সহ অন্যন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


একেএস

আরও পড়ুন