• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৮:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৯:০০ পিএম

‘পেঁয়াজ আমদানি করে যারা বিক্রি করেননি তাদের খোঁজা হচ্ছে’

‘পেঁয়াজ আমদানি করে যারা বিক্রি করেননি তাদের খোঁজা হচ্ছে’
অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম- ছবি: জাগরণ

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি, কারা পেঁয়াজ আমদানি করে এখনও বিক্রি করেননি। এর মধ্যে দেশের ৪৭ জন শীর্ষ পেঁয়াজ আমদানিকারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে এসব আমদানিকারকদের কাছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত রয়েছে তা জানতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কারণ আমদানিকারকরা বিক্রি করলে পেঁয়াজ সংকট কমে যাবে এবং দামও নিয়ন্ত্রণে খাকবে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের নিজ কার্যালয়ে মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তাই যারা আমদানি করেছেন, তারা আমদানির পরে কোথায় কোথায় বিক্রি করেছেন? কী মূল্যে বিক্রি করেছেন? এখন পর্যন্ত তাদের হাতে কত টন পেঁয়াজ মজুত আছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে আমরা ১৩ জনকে ডেকেছিলাম। তাদের মধ্যে ১০ জন এসেছেন। আগামী মঙ্গলবার ডেকেছি এমন চারজন আজকে (সোমবার) চলে এসেছেন। আজ মোট ১৪ জনের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করছি। আজ ও আগামীকাল তাদের বক্তব্য নেয়ার পর আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।

সহিদুল ইসলাম বলেন, আশা করা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি পেঁয়াজের বাজার সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। বিমানের কার্গোতে পেঁয়াজ আসছে। কিছু কিছু প্যাসেঞ্জার বিমানেও পেঁয়াজ নিয়ে আসছে। বাজারে এখনও যথেষ্ট পেঁয়াজ রয়েছে। পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তবে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বা সহনশীলতার বাইরে চলে গেছে। বর্ধিত মূল্য নিয়ন্ত্রণে  নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে। চলতি বছরের আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টনের মতো পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি দুইদিন আগে বলেছিলেন, ‘এই সময় প্রতিমাসে এক লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়।’ তাহলে গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ আমদানি ঘাটতি কত? -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাজারে গেলে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। ওই অর্থে কোনো ক্রাইসিস নাই।

মজুতদারী ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আমদানিকারকদের ডাকা হয়েছে-এ বিষয়ে সহিদুল ইসলামের বক্তব্য, ‘বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তো আসতেই পারে বা আসে। একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার অবকাশ থাকে না। আমরা চলমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলেছি, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

‘শুল্ক গোয়েন্দার কাজ শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে কি না -সেটা দেখা। কিন্তু আপনারা আমদানি পরবর্তী সময়ের কাজ করছেন- এটা করতে পারেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় আমরা এ কাজ করছি। আমরা সব বিভাগ একসঙ্গে কাজ করছি। যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক হয়ে যায়।’

এভাবে ডাকার ফলে আমদানিকারকদের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না-এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের জনবল কম। তাই তাদেরকে ঢাকায় ডেকে এনেছি। তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনা করছি। আমদানিকারকদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

টিএইচ/টিএফ
 

আরও পড়ুন