• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০১৯, ১১:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০১৯, ১১:২৯ এএম

রেকর্ড রেমিট্যান্স আহরণ

বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসী আয় ১৬৪২ কোটি ডলার

বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসী আয় ১৬৪২ কোটি ডলার


প্রবাসী আয়ে নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। সদ্য বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়েছে। এ সময় প্রবাসীরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুন মাসে প্রবাসীরা ১৩৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। যার কারণে অর্থ বছরের ১২ মাসে প্রবাসীদের পাঠানো আয় দাঁড়িয়েছে হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৪৪ কোটি ডলার বা ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। 

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাংলাদেশ রেমিট্যান্স থেকে আয় করে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। আর গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি ও ব্যাং‌কিং চ্যা‌নে‌লে রে‌মিট্যান্স বাড়া‌তে নানা উদ্যোগ নি‌য়ে‌ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া হুন্ডি বন্ধ ও ব্যাংকিং চ্যানেল রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার কারণে বাড়ছে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ।

সূত্র আরো জানায়,একক মাস হিসাবে গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আয় আসে মে মাসে। এদিকে ঈদ উৎসবের কারণে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। গত মে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পঠিয়েছিলেন। যা একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। আর ২০১৮ সালে প্রবাসীরা এক হাজার ৫৫৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০৪ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১৭ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার। এর আগের বছর ২০১৬ সালে ছিল এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এসেছে এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।

প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে রেমিট্যান্স প্রেরণে বর্ধিত ব্যয় লাঘব এবং বৈধপথে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রণোদনা হিসেবে চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়। যা গত ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এতে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে অর্থ পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন।

এআই/আরআই

আরও পড়ুন