গেল বছর অক্টোবরে হঠাৎ করেই আলোচনায় আসে ‘যুবতী রাধে’ শিরোনামের গানটি। গানটি গেয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওন। সংগীতায়োজন করেছিলেন পার্থ বড়ুয়া, যেটির প্রযোজক ছিল আইপিডিসি ফাইন্যান্স।
গানটির কপিরাইট নেওয়া ব্যান্ডদল ‘সরলপুর’ অভিযোগ তোলে, তাদের অনুমতি ছাড়াই গানটিকে সংগৃহীত উল্লেখ করে প্রকাশ করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। সে অভিযোগের পর আইপিডিসির ইউটিউব ও অন্য মাধ্যম থেকে গানটি নামিয়ে দেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আইপিডিসি কর্তৃপক্ষ কপিরাইট অফিসে সরলপুর ব্যান্ডের গানটির মৌলিকত্ব নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন তুলে তাদের সনদ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। সরলপুর ব্যান্ডও পাল্টা কপিরাইট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করে।
গান প্রকাশের কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো চলমান বিতর্কের কোনো সুরাহা হয়নি। কপিরাইট অফিস বিষয়টি নিয়ে বাড়তি আছে বলে জানান রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী। তিনি জানালেন, সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে।
জাফর বলেন, “বিষয়টি বেশ জটিল। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে দুই পক্ষই জবাব দিয়েছে। তবে এটি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমাদের একটি বোর্ড মিটিং হওয়ার কথা ছিল এই বিতর্ক নিয়ে। সেটি হয়নি। আশা করছি এ মাসে হবে। তখন সিদ্ধান্ত নিতে পারব মনে করি।”
তিনি আরো বলেন, “সরলপুর ব্যান্ডের কাছে ব্যাখা চেয়েছিলাম, তারা সেটি জমা দিয়েছে। তাদের সেই ব্যাখ্যা আইপিডিসি ফাইন্যান্সে পাঠিয়েছি। তারা উত্তর দিলেই বোর্ড সভা ডাকব।”
এর আগে ২০১৮ সালে কণ্ঠশিল্পী সুমী মির্জা একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে যাচাই-বাছাই ও গবেষণার পর কপিরাইট অফিস সরলপুর ব্যান্ডের সনদ বহাল রাখে।