বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে আইসিটি ডিভিশনের অর্থায়নে নির্মাণ হয়েছে চলচ্চিত্রটি। এটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা।

সিনেমার কাহিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই হতে নেওয়া হয়েছে। অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত সময় উঠে এসেছে।

দ্বিমাত্রিক এই চলচ্চিত্রটি তৈরি করছে প্রোল্যান্সার স্টুডিও। এটি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের গেইম অ্যান্ড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় বিএমআইটি সল্যুশনের সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে।

কয়েক মাস আগে চলচ্চিত্রটির টিজার ও সম্প্রতি দুইটি গান প্রকাশ করা হয়েছে প্রোলেন্সার স্টুডিওর ইউটিউব চ্যানেলে। গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনে হয়ে গেছে চলচ্চিত্রটির টেকনিক্যাল প্রিমিয়ার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা জানান, বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মানো খোকা কিভাবে একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখাতে পারে সেই পথচলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটির কাহিনি।

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কৈশোরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি, যৌবনে স্বাধিকার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে শাসকশ্রেণীর চক্ষুশুল হয়ে জেল-জুলুম সহ্য করা, দেশের নিপীড়িত মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য পালনের তাড়না সব উঠে এসেছে বিভিন্ন বইপত্র-প্রবন্ধ-নিবন্ধে। সেই কাহিনিগুলো এবার অ্যানিমেশনে উঠিয়ে আনতেই অ্যানমিশন চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।”

চলচ্চিত্রটির স্ক্রিপ্ট, স্টোরিবোর্ড, চরিত্র, দৃশ্যপট নিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা হয়েছে। সিনেমাটির চরিত্র চিত্রায়ণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও অন্যান্য চরিত্রের পুরোনো ছবি, পোশাক, বাচনভঙ্গি, চলাফেরা, পুরোনো ভিডিও, তথ্যচিত্র এবং সাক্ষাৎকার।

চলচ্চিত্রটির লিড ক্যারেক্টার ডিজাইন করেছেন আরাফাত করিম, লিড ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইনার পল্লব কুমার মোহন্ত ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ফাহাদ চিশতী কানন ও ইবনে কবির।