• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২১, ০৬:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২১, ০৬:০৮ পিএম

ছোটবেলায় রোজা নিয়ে ছেলেমানুষি করতাম: বুবলী

ছোটবেলায় রোজা নিয়ে ছেলেমানুষি করতাম: বুবলী

ছোটবেলা থেকে রক্ষণশীল ধার্মিক পরিবারে বড় হয়েছেন শবনম বুবলী। তাই তো রোজার মাস এলেই এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করে তার ভেতর।

শৈশবের রোজা প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, “ছোটবেলার রোজার স্মৃতিগুলো অনেক মধুর। আসলে আমি ছোটবেলায় রোজা-নামাজ নিয়ে খুব ছেলেমানুষি করতাম। আমার বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন থেকে রোজা রাখতে চাইতাম। না হলে অভিমান করতাম বাসার সবার সঙ্গে। ব্যাপারটা এমন ছিল যেন আমি রোজা রাখতে না পারলে কিছু একটা মিস হবে! আমার কষ্ট হবে ভেবে আব্বু-আম্মুসহ বড় আপুরা রোজা রাখতে তখন নিষেধ করলে আমি ভাবতাম কেউ আমাকে ভালোবাসে না। তাই কেউ আমার ভালো চাচ্ছে না—এমন পাগলামি করতাম। আসলে তখন তো ছোট ছিলাম, তেমন কিছুই বুঝতাম না।”

প্রথম রোজা রাখার ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রোজা রাখার জন্য সেহরি খাব বলে উঠে যেতাম সবার সঙ্গে। খুবই কষ্ট হতো ঘুম থেকে উঠতে, কিন্তু চেষ্টা করতাম। একদিন প্রথম যখন সেহরি খেলাম তখন আব্বু-আম্মু মজা করে বলেছিলেন, আচ্ছা সেহরির সময় খাচ্ছ খাও কিন্তু সকাল দুপুর আর বিকালে না খেলে ছোটদের রোজা হবে না, আর এভাবে দিনে তিনবার খেলে একসঙ্গে তোমার তিনটা রোজা হবে। যেই কথা সেই কাজ। সেহরিতে খেতাম আর দিনে আমি পারলে তখন আরও বেশি খেতাম, ভাবতাম বেশি খেলেই বেশি রোজা হবে। কিন্তু বাসার সবাই আমাকে নিয়ে মজা করত। এভাবে কয়েকদিন চলল।”

বুবলী আরও বলেন, “একদিন উঠে দেখি সকাল, তার মানে কেউ আমাকে সেহরিতে ডাকেনি, সেদিন আমার কান্না কে দেখে। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। ওই দিন সবার ওপর রাগ করে না খেয়ে ছিলাম—যেটার মাধ্যমেই আসলে আমার পরে রোজা রাখা শুরু। ওই দিনই বাসার সবাই বুঝতে পেরেছিল রোজা রাখার জন্য আমি সত্যি সিরিয়াস ছিলাম। তাই পরে কেউ আর ছোট বলে রোজা রাখতে বাধা দেননি।”

বড়বেলায় এসে ছোটবেলার রোজার দিনগুলো মনে পড়ে বুবলীর। সুযোগ পেলে সেই মধুর দিনগুলোতে ফিরে যেতে চান তিনি। রোজার প্রতি সেই ভালোবাসা এখনও বিদ্যমান। যতই শুটিংয়ের কাজে রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট হোক না কেন রোজা রাখতে চেষ্টা করেন তিনি।