• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০১৯, ১২:৫৫ পিএম

শঙ্কা কাটছেই না আলাউদ্দিন আলীর

শঙ্কা কাটছেই না আলাউদ্দিন আলীর
সুরসম্রাট আলাউদ্দিন আলী

 

কোনোভাবেই শঙ্কা কাটছেই না সুরসম্রাট আলাউদ্দিন আলীর। যে কারণে সঠিক চিকিৎসাও দেয়া যাচ্ছে না তাকে। এখনো লাইফ সাপোর্টেই আছেন রাজধানীর মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। 

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সাতজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড আলাউদ্দীন আলীর চিকিৎসা নিয়ে পর্যালোচনা করে। রোববার (২৭ জানুয়ারি) তাকে আরো উন্নত পর্যায়ের চিকিৎসা দেয়া শুরু করবে বলে জানা যায় হাসপাতাল সূত্রে।
 
গুরুতর অসুস্থ হয়ে আলাউদ্দিন আলী গত ২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত ১২টায় রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হলেও গত ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। আবারো তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। কিন্তু তাতে আর তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। বরং তাকে নিয়ে পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকের মাঝে শংকা বাড়তেই থাকে। এ

বিষয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, আলাউদ্দিন আলীর শরীরে রক্তচাপ অনেকটা কমে গেছে, জ্ঞানের মাত্রাও কমে গেছে, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। শরীর ধীরে ধীরে খারাপের দিখে যাচ্ছে। পাশাপাশি রক্তে সংক্রমণও মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যাচ্ছে।
 
আলাউদ্দিন আলী দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যান্সারসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এরমধ্যে গত ২২ জানুয়ারি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যু সংবাদে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। দুঃচিন্তায় ওই রাতেই তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপের দিকে চলে যায়। তিনি আর স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারছিলেন না। সেই সঙ্গে তার উচ্চমাত্রায় জ্বর আসে। এমন অবস্থায় ২২ জানুয়ারি রাত ১২টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আলাউদ্দীন আলী বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, বেহালাবাদক ও সঙ্গীত পরিচালক। গান রচনা করে অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে। তার বাবা ওস্তাদ জাদব আলী ও চাচা সাদেক আলীর কাছেই তার সঙ্গীতে হাতেখড়ি। ১৯৬৮ সালে তিনি আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যন্ত্রশিল্পী হয়ে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। 

আলাউদ্দিন আলীর সুরারোপিত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়, দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়, হয় যদি বদনাম হোক আরো, আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার ব্যারিস্টার, সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি, সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ,  বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না,  যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে, এমনও তো প্রেম হয় চোখের জলে কথা কয় ইত্যাদি কালজয়ী গান।

এসজে/বিএস