• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই ছেড়ে দেবো: ডিপজল

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই ছেড়ে দেবো: ডিপজল

অবশেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত কার্যকরী সদস্য অঞ্জনা। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় এফডিসিতে শপথ নেবেন তিনি। শপথ নেবেন সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত অভিনেতা ডিপজলও। তবে তিনি কবে শপথ নেবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।
 
এ সময় তিনি বলেন, জায়েদ হোক আর নিপুণ হোক, যেদিনই আমাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে সেদিনই আমি শপথ নেব। কিছুদিন অপেক্ষা করেছিলাম, কি হয় তা দেখার জন্য।

বুধবার বিকেল ৫টায় শপথ নিচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপজল বলেন, এটা মিথ্যে কথা। শপথ নিচ্ছি এটা সত্য, তবে কবে নেব তা এখনো ঠিক হয়নি। যেহেতু নির্বাচিত হয়েছি তাই কমিটি থেকে বাদ যাওয়ার ইচ্ছে নেই। যারা আমাকে নির্বাচিত করেছে তাদের জন্য কাজ করতে চাই। শপথ না নেওয়াটা তো ভালো কিছু দেখায় না।

ডিপজল আরও বলেন, যদি শপথ না নেই, তবে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই ছেড়ে দেবো। আর কোনোদিন এফডিসিতে পা রাখব না। কথাটা মনের দুঃখেই বললাম। এতো কাদা ছোড়াছুড়ি আমি আমার জীবনেও দেখি নাই। বাইরের মানুষ আমাদেরকে এখন নোংরা বলছে। আমার শরীরটা ভালো নেই। একটু সুস্থ হলে বসে ওদেরকে একটা সমাধান করে দিতাম।

এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বসতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতিবস্থাও বহাল রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।

এর আগে গতকাল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে আবেদন করেন নিপুণ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।

আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।

ইউএম