• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৯:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৯:৩০ এএম

লোকসংগীত শিল্পী আব্দুল আলীমের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

লোকসংগীত শিল্পী আব্দুল আলীমের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ


১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রাম জন্মগ্রহণ করেন মরমিশিল্পী আব্দুল আলীম। তিনি বাল্যকাল থেকেই সংগীতের প্রতি প্রবল অনুরাগী ছিলেন। আব্দুল আলীম প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় গ্রামোফোন রেকর্ড শুনে তার গান গাওয়ার আগ্রহ জন্মে। ছোটবেলায় তার সংগীত গুরু ছিলেন সৈয়দ গোলাম আলী। এত অল্প বয়স হতেই বাংলার লোক সংগীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে সুনাম কুড়ান। ১৯৪৩ সালে মাত্র তেরো বছর বয়সে তার গান প্রথম রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত গান দুটি হলো ‘তোর মোস্তফাকে দে না মাগো’ এবং ‘আফতাব আলী বসলো পথে’।

পরবর্তীকালে তিনি কোলকাতায় যান। সেখানে আব্বাসউদ্দিন ও কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে গান করেন। তিনি লোক ও শাস্ত্রীয় সংগীতের উপর দীক্ষা নিয়েছেন বেদার উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাই লাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখের কাছে। লেটো দলে, যাত্রা দলেও কাজ করেছেন তিনি।

দেশ বিভাগের পর আব্দুল আলীম ঢাকায় চলে আসেন। রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানেও সংগীত পরিবেশন শুরু করেন তিনি। এ ছাড়াও তৎকালীন পূর্ব বাংলার প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রে আব্দুল আলীম গান গেয়েছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘লালন ফকির’।

সব মিলিয়ে তার প্রায় ৫শ’র মতো গান রেকর্ড হয়েছিল। আব্দুল আলীম তার আধ্যাত্মিক ও মরমি মুর্শিদী গানের জন্য অমর হয়ে থাকবেন। কবি ও বাংলার লোক সংগীতের গবেষক কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘সমাজটাকে যারা জাগিয়েছেন আব্দুল আলীম তাদের একজন’। পেশাগত জীবনে আবদুল আলীম ছিলেন ঢাকা সংগীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপক।

লোক সংগীতের শিল্পী আব্দুল আলীম বেশ কিছু জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন- তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার। পাকিস্তান মিউজিক কনফারেন্স, লাহোরে সংগীত পরিবেশন করে আব্দুল আলীম পাঁচটি স্বর্ণ পদক পেয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে সম্মানিত করে।

জেডএইচ/আরআই