• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০, ০৮:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০, ০৮:২৮ পিএম

ভাসানচর পরিদর্শনে গেলেন ৪০ রোহিঙ্গা

ভাসানচর পরিদর্শনে গেলেন ৪০ রোহিঙ্গা

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর বসবাসের উপযোগী কি না দেখতে সেখানে পরিদর্শনে গেলেন ৪০ জন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি।  শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে দুই মহিলাসহ এরা উখিয়া থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্ববধানে চট্টগ্রামে যান তারা। সেখান থেকে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সন্ধ্যায় ভাসানচরে পৌঁছান বলে জানা যায়। 

প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ওই দ্বীপে পাঠানোর পরিকিল্পনা রয়েছে সরকারের। এর অংশ হিসেবে আজ শনিবার দু’জন নারীসহ ৪০ রোহিঙ্গা ভাসানচরের অবস্থা দেখতে গেলেন।  শনিবার ভোরে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্প হতে তারা রওনা দিয়েছেন বলে এ তথ্য জানান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মাহবুব আলম তালুকদার।

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ ও উপ সচিব মোঃ খলিলুর রহমান খান  জানিয়েছেন, সরকারের আশা, রোহিঙ্গা নেতারা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে এসে অন্যদের বোঝালে রোহিঙ্গারা ভাসানচর যেতে রাজি হবেন। ভাসানচর সফরকারী প্রতিনিধি দলের সাথে মাঝি নেতা, শিক্ষক, ইমামসহ দুইজন রোহিঙ্গা মহিলা রয়েছে। তবে, এই দলের সঙ্গে জাতিসংঘের কোনও সংস্থার প্রতিনিধি বা গণমাধ্যমর্কীরা থাকছেন না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র মোস্তফা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এ সর্ম্পকে আমরা কিছুই জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। এখনও আমরা সরকারের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

ভাসানচরে রোহিঙ্গা নেতাদের আগস্টের শুরুতে যাওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আগামী মঙ্গলবার পরিদর্শনে যাওয়া রোহিঙ্গারা ফিরে আসার কথা রয়েছে। শুক্রবার রাতে সফরকারী রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে (আরআরআরসি) মাহবুব আলম তালুকদার ভাসানচরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা যায়। আগেই সব প্রতিনিধির করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আশ্রয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ এবং এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের এক সভায় ভাসানচরের জন্য নেওয়া প্রকল্পের খরচ ৭৮৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা করা হয়। বাড়তি টাকা বাঁধের উচ্চতা ১০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১৯ ফুট করা, আনুষাঙ্গিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের জন্য ভবন ও জেটি নির্মাণে খরচ হবে।

জাগরণ/এইমএইচ

আরও পড়ুন