• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০৬:২০ পিএম

নামফলকে জিয়াউর রহমানের নাম পুনঃস্থাপনের দাবি বিএনপির

নামফলকে জিয়াউর রহমানের নাম পুনঃস্থাপনের দাবি বিএনপির

 

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে জিয়াউর রহমানের নাম পুনঃস্থাপনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। এর মধ্যে দাবি না মানা হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. শাহাদাত বলেন, বিএনপি ও বিরোধী মত দমন করার জন্য বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতন এখনো অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ। শত জুলুম নির্যাতন সত্ত্বে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট বিগত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। কিন্ত প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের একপেষে ভূমিকার কারণে এই নির্বাচন সহিংসতাপূর্ণ এবং প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত হয়।

ডা. শাহাদাত বলেন, নির্বাচনের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ীস্থ জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করার জন্য মন্ত্রী সভায় প্রস্তাব তুলে। নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার পরের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্রফোরামের নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী জিয়া যাদুঘরের নামফলক থেকে প্রকাশ্যে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলে। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এভাবে দিনের বেলায় নামফলক মুছে ফেলার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরদিন পুলিশের উপস্থিতিতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সামনে অবস্থিত জিয়াউর রহমানের ম্যুরালে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। যা একজন সেক্টর কমান্ডারের অপমান নয়, পুরো মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. সহ সভাপতি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ এম এ আজিজ, সাবেক কমিশনার মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর কল্যাণ পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, নগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

কেএসটি