• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৪:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৪:৩৭ পিএম

সারাদেশে বিজয় উৎসব

সারাদেশে বিজয় উৎসব

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে। 

দৈনিক জাগরণ- এর সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন- 

নোয়াখালী 
নোয়াখালীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা শহীদ স্মৃতিফলকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৩১ বার তোপধ্বনি, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও খেলাধুলা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা-বীরাঙ্গনা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান
বিজয় দিবস।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জেলা শহরের বিজয় মঞ্চ সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন। 

পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নোয়াখালী ইউনিট, জেলা আওয়ামী লীগ, নোয়াখালী প্রেসক্লাব, নোয়াখালী পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, স্বাচিপ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ রিপোর্টাস ক্লাব নোয়াখালী জেলা শাখা, জেলা আইনজীবি সমিতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

বরিশাল
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বরিশালে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে।

এর আগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগরীর পুলিশ লাইন্স মাঠে একত্রিশ বার তোপধ্বনি ও সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। এরপর নগরীর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমেই বরিশাল জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান ও জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় তার সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা ও মহানগর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। এর আগে সকাল ৭টা ১০ মিনেটে ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন বদ্যভ‚মি অভিমুখে পদযাত্রা ও পুষ্পস্তাবক অর্পণ এবং সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ এডিসি কাজী আজিজুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সকাল ৯টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ এবং শরীর চর্চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মু. ইয়ামিন চৌধুরী। এসময় পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব এবং জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, মহান বিজয় দিবস উদযাপনে পৃথক বিজয় র‌্যালি করেছে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। এর মধ্যে নগরীর সদর রোডস্থ শহীদ সোহেল চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। র‌্যালির অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেন বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়স্থ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। 

পরে বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকাসহ একে একে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষ। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
উত্তর প্রজন্মের জন্য উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার চলমান সংগ্রামে, আমরা এক একজন অকুতোভয় সৈনিক হব- এ প্রত্যয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারের মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলকে ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রাশাসন, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্ল গাইডস, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কুজকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক এজেডএম নুরুল হক ও পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম। এরপর স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।

কুড়িগ্রাম 
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। এরপর স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক। পরে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। 

বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী কুড়িগ্রাম স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, হাডুডু, ক্রিকেট, ফুটবল,ভলিবল টুর্ণামেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারদের সংবর্ধনা, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

খুলনা 
খুলনায় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের স্মরণ করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, আওয়ামী লীগ জেলা ও মহানগর শাখা, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কমিউনিস্ট পার্টি, শিল্পকলা একাডেমি, বিএমএ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন। দিবসটি উদযাপনে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী।

মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।

দিবসটি উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) সকাল সাড়ে ৬টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে শোভাযাত্রাসহ ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা চত্বরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। 

মাগুরা
মাগুরায় যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুলসহ জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে সকাল সাড়ে ৮টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বেলা ১১টায় শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে হাসপাতাল, এতিম খানা ও কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা করা হয়। পরে শহরের হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পতাকা উত্তোলনের পর স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠনসহ সরকারি বেসরকারি সংগঠনগুলো শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এরপর সকাল ৮টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কুচকাওয়াচ প্রদর্শন। কুচকাওয়াজে অংশ নেয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, গার্লস গাইড, বিএনসিসি, স্কাউট, শিশু পরিবারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার জাহিদুল হাসান। পরে সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।

নড়াইল

নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পালিত হচ্ছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, রুপগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের গণকবর, পুরাতন লঞ্চ ঘাটের বধ্যভূমি ও স্বাধীনতা স্তম্ভে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্যর পক্ষে, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, জেলা আওয়ামী লীগ, নড়াইল প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা, হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশুসদনসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচিত্র প্রদর্শন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী।

কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বিশ্বাসসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

যশোর  
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন ও স্থানীয় প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র মহা-পরিচালকের পক্ষে যশোর-৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে সেখানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। নূর মোহাম্মদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করেন- বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শহিদুর রহমান সিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মন্ডল, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জুসহ স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৬টায় বেনাপোল স্থলবন্দর, পৌর আওয়ামী লীগ, পোর্ট থানা, বন্দর প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিজয় র‌্যালি নিয়ে কাগজ পুকুর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 
সকাল ৯টায় উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে পুলিশ প্রশাসনসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুজকাওয়াজ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

এর আগে, রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা হয়। পরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। 

পাবনা 
যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় পাবনায় উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। দিবসের প্রথম প্রহরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা পুলিশ প্যারেড ময়দানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘দুর্জয় পাবনা’য় পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। 

পরে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সাংবাদিক, রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় স্মৃতিস্তম্ভে নানা পেশাজীবী মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। 

লক্ষ্মীপুর
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুরে উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় চত্বর স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। এরপর পর্যায়ক্রমে পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। 

পরে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে শহরের বাগবাড়িস্থ গণকবরে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে শহীদদের রুহের মাঘফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড.এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বাগেরহাট
বাগেরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাট শহরের দশানী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা হয়। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সংসদ সদস্য, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগ, যুব মহিলা লীগ, সিভিল সার্জন অফিসসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠন শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। 

পরে বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট চার আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামুজ্জামান টুকু প্রমুখ। পরে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

রংপুর 
রোববার মধ্যরাত ঘড়ির কাটায় ১২টা ১ মিনিট ছোঁয়া মাত্রই জয় বাংলা স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রংপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এ সময় একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রাতে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। 

এছাড়া সকালে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ ‘অর্জন’এ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি অফিসের পক্ষ থেকে নগরীর সুরভী উদ্যানের স্মৃতিস্তম্ভে, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। 

 

কেএসটি