• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০১৮, ০৫:১৫ পিএম

সাজা শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলো ১৭ বাংলাদেশি

সাজা শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলো ১৭ বাংলাদেশি

 

সাজা শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭ বাংলাদেশি। বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রতিনিধিদল।  তারা সবাই সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় আটক হয়েছিলেন।

ফেরত আসা ১৭ বাংলাদেশিরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বশিরবাড়ি এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে বদিউল আলম,  টেকনাফের শীলখালী এলাকার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে রহিম উল্লাহ, নুরুল কবিরের ছেলে মফিজুর রহমান, আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম, কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ কলাতলী এলাকার মো. সামিরুলের ছেলে মো. শফিক, টেকনাফের গোদারবিলের মো. সাব্বির আহমেদের ছেলে মো. শাকের,  শাহের ঘোনার পাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে জালাল উদ্দিন, আব্দুল আমিনের ছেলে মিজানুর রহমান, মৃত কালু মিয়ার ছেলে নুরুল আলম, আব্দুর রশিদের ছেলে আজিজ উল্লাহ, আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুস সালাম, ওয়াশিউর রহমানের ছেলে মো. হেলাল, মৃত  আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. জালাল, মৃত সেতাব্বরের ছেলে আবু তাহের, অং জো মারমার ছেলে সে তু অং মারমা, মংপু মারমার ছেলে ইউ সা খ মারমা ও আয়ুব আলীর ছেলে জালাল উদ্দিন।

বিজিবি ভাষ্য মতে, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায়  বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আছাদুদ-জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও মিয়ানমার মংডুর অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তা হটেন লিনেন’র নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেরত নাগরিকদের নিয়ে সদর বিওপি চৌকির সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার টেকনাফ নতুন ট্রানজিট ঘাট জেটি ঘাটে পৌঁছায়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ফেরত আনা ১৭ বাংলাদেশিকে যাচাই-বাচাই করে পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।

ফেরত আসা রহিম উল্লাহ বলেন, 'গত সাত মাস আগে টেকনাফের শামলাপুর এলাকা দিয়ে ট্রলার যোগে মালয়েশিয়া যাবার জন্য সমুদ্র পাড়ি জমাই। পরে ট্রলারটি নষ্ট হয়ে গেলে ভাসমানের পর মিয়ানমার সীমানায় পৌঁছলে সেদেশের কর্তৃপক্ষ আমাদের আটক করে। পরে তারা ছয় মাসের সাজা প্রদান করেন। অবশেষে বাংলাদেশ সরকারের চেষ্টায় নিজ দেশে ফেরত আসতে পেরেছি। এজন্য সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ। তিনি টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালীর এলাকার আবদুল শুক্কুরের ছেলে।

এসসি/বিএস