• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৯, ০২:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৩:৫২ পিএম

‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়ার সিদ্ধান্ত’

‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়ার সিদ্ধান্ত’
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক -ছবি : জাগরণ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে সরকার বীজ ও সার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তাদের পুনর্বাসনের জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাউথ এশিয়া রিজিওনাল সেন্টার অব ইন্টারনইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার ইন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুষিয়ে উঠতে এবং তাদের পুনর্বাসনের ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজন হলে এ বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। 

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের এরইমধ্যেই ৩০ কেজি করে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফসলের বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রবিশস্যের একটু ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজির একটু দাম বেড়েছে। 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আন্তর্জাতিক আলু সেন্টার পেরুতে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমরা দীর্ঘ দিন কাজ করেছি। প্রতিষ্ঠানটি আমাদের আলুর ভ্যারাইটি বাড়াতে ও বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য অনেক সহযোগিতা করেছে। এ বছর আমরা ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন করেছি। যেটা দেশের চাহিদা পূরণ করে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টন ছারপ্লাস হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে আলুর ভ্যারাইটি না থাকায় আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে আলু দিতে পারিনি।  

তিনি বলেন, আমরা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে যে পণ্যগুলো উৎপাদন করছি তা আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না। সেজন্য যেসব পণ্যের চাহিদা রয়েছে আমরা সেগুলোর উৎপাদন করবো। এজন্য ভারত, নেদারল্যান্ড, পেরু থেকে ভালো জাত এনে চাষিদের দিয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে রফতানি করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার দক্ষিণ এশিয়ায় একটি পটেটো স্টেশন করতে চায়। আমরা চাচ্ছি এটা যেন বাংলাদেশে হয়। সেটা কিভাবে করা যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে আমরা জমি ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিলাম বাকিগুলোর মধ্যে গবেষণাগার নির্মাণ, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তারা দেবে। এই গবেষণা সেন্টারের সঙ্গে আফগানিস্তানসহ সাউথ এশিয়ার সবগুলো দেশ জড়িত থাকবে। 

তিনি বলেন, নানা দিক বিবেচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে- আন্তর্জাতিক  এ পটেটো সেন্টার বাংলাদেশে করবে। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই সাউথ এশিয়ার দেশগুলোর কৃষিমন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে একটি বৈঠক করে কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

এমএএম/একেএস

আরও পড়ুন