• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২০, ২০১৯, ০৪:৫৭ পিএম

‘তরল দুধ নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারে কুচক্রী মহল’

‘তরল দুধ নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারে কুচক্রী মহল’

একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মিল্ক ভিটাসহ তরল দুধের গুণগত মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সুনাম নষ্ট করছে। এজন্য মিল্ক ভিটার বিক্রি কমে গেছে। অন্যদিকে বিগত চার বছর ধরে ইউরোপসহ অন্যান্য মহাদেশের বিভিন্ন দেশে সরকারি ভর্তুকি দেয়ায় সেখানে দুধ উৎপাদন বিশেষ করে গুঁড়োদুধ উৎপাদন অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে। অন্যদিকে মিল্ক ইউনিয়ন কর্তৃক যথাযথ গুণগতমান সম্পন্ন গুঁড়োদুধ বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন করা হলেও বিদেশি গুঁড়োদুধের আমদানি শুল্ক কম থাকায় মিল্ক ইউনিয়নের গুঁড়োদুধ আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। 

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সময়বায় ইউনিয়ন লিমিটেডের ৬ জন শীর্ষ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্যরা দেশীয় দুগ্ধ শিল্প রক্ষায় সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানিয়ে এ শিল্পে কোনো ঘাটতি থাকলে তা পূরণের সুপারিশ করে। 

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক চৌধুরী, ইসমাত আরা সাদেক, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং মো. জিল্লুল হাকিম অংশ নেন। বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

দুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে প্রয়োজনীয় জনশক্তি নিয়োগের মাধ্যমে মিল্কভিটার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে সুপারিশ করে কমিটি। মিল্ক ভিটায় কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকলে তা প্রতিকারের জন্য কঠোর নীতি প্রণয়নেরও সুপারিশ করা হয়। কমিটি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়িতে দুগ্ধ কারখানা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয়ের পরিমাণ ৩২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, দেশীয় দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে হাজার হাজার খামারি জড়িত। এই বিকাশমান শিল্প নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এগুলোর তেমন কোনো ভিত্তি নেই। এটি দেশীয় শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপারিশ করেছে কমিটি ।

কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের ভুল থাকলে তা সংশোধনে সময় দিতে হবে। কিন্তু অবৈজ্ঞাতিক তথ্য নিয়ে ব্যবসার ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে সরকারকে নজর দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। 

বৈঠকে পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব, মিল্ক ভিটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন