রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার জন্য যারা প্ররোচনা দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জেনেছি- রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য অনেকেই প্ররোচনা চালাচ্ছেন। লিফলেট বিতরণ করছেন। ইংরেজিতে প্ল্যাকার্ড লিখে দিচ্ছেন। এ সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য কাউকে না পাওয়াটা দুঃখজনক, তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়নি, আগামীতেও চলবে। কাউকে পাওয়া গেলে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম আজ থেকে স্বল্প আকারে হলেও প্রত্যাবাসন শুরু হবে। তবে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। কিন্তু আমরা আশা ছাড়িনি। আমরা এখনও প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আশায় বুক বেঁধে আছি। আজকের বিষয়টি দুঃখজনক। পরবর্তী সময়ে কী করব, আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।

রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এ সংকটের সমাধান তাদের কাছেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা জোর করে কাউকে পাঠাব না। আমরা স্বেচ্ছায় নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই। রোহিঙ্গা সংকটের মূলে আস্থার অভাব রয়েছে। এজন্য আমরা সবশেষ চতুর্থ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে প্রস্তাব করেছিলাম, আস্থা তৈরির জন্য কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে যেসব রোহিঙ্গা মাঝি বা নেতা রয়েছেন তাদের রাখাইন নিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো হোক, যেন রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থার যে অভাব আছে তা দূর হয়।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে ফিরে না যায় সেজন্য অনেক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শিবিরগুলোতে প্রচারনা চালাচ্ছে। চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোহিঙ্গাদের আরামের জীবন থেকে আরাম কমানো হবে, যাতে তারা ফিরতে রাজি হয়।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ঢাকার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন চিন্তা করেছি, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য একটি কমিশন গঠন করব, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

এইচএস/একেএস