• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০১৯, ১০:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৯, ২০১৯, ১০:১২ এএম

অপরাধ দমনে জব্দ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের মোবাইলফোন  

অপরাধ দমনে জব্দ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের মোবাইলফোন  
মোবাইলফোনে কথা বলছেন এক রোহিঙ্গা নারী- সংগৃহীত

অপরাধ দমনের লক্ষে শিগগিরই কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কাছে থাকা মোবাইলফোন জব্দ করা হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হবে সিমের সংযোগও। উখিয়া ও কুতুপালং এলাকার প্রশাসন বলছে, রোহিঙ্গা শিবিরে অবৈধ মোবাইল সিমের ব্যবহার বন্ধে কয়েক দফা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। যা এখনো চলমান। এরপরও এসব পুরোপুরি বন্ধ না হওয়ায় নেয়া হচ্ছে এ উদ্যোগ।

বিটিআরসির কৌশল মোতাবেক রোহিঙ্গাদের হাতে থাকা সকল অবৈধ মোবাইলফোন এবং সিম জব্দ করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 
 
এদিকে কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন, তাদের অনেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের নামে অন্যায় এবং অবৈধভাবে সিম ব্যবহার করছেন। সে বিষয়টি অবৈধ। বিটিআরসির মাধ্যমে যেন এই অবৈধ সিমগুলো বন্ধ করা হয়, সে বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই অনুরোধ করেছি।

এবিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, রোহিঙ্গাদের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দিয়ে নিবন্ধনের মাধ্যমে সিম কার্ড দিলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে অবাধে মোবাইলফোন ব্যবহার করছেন রোহিঙ্গারা। স্থানীয়দের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিম নিবন্ধন করে এক শ্রেণীর দোকানদার তা তুলে দিচ্ছেন তাদের হাতে। আর এসব সিম ব্যবহার করে অপরাধমূলক নানা কাজের অভিযোগ উঠছে অনেকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এসব সিমের বিরুদ্ধে।
 
অপরদিকে উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের টিভি সেন্টার এলাকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যেকের হাতেই মোবাইল ফোন।একাধিক সেটও দেখা গেছে কারো কারো হাতে। অনুপ্রবেশের শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানা হচ্ছে না তা। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় নিজেদের নামে মোবাইলফোনের সিম নিবন্ধনের সুযোগও নেই তাদের। এসব নিয়ম-কানুনের কিছু জানা না থাকলেও স্থানীয় বাজার থেকে অবাধেই সিম পাওয়ার কথা জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।

এক রোহিঙ্গা বলেন, আমরা যখন প্রথম মিয়ানমার থেকে নদী পার হয়ে এপারে আসি। তখন স্থানীয় বাজার থেকে সিম কিনেছি। আমারটা শাহপরীর দ্বীপের এক দোকান থেকে কেনা। কোনো কাগজ লাগেনি। এসব নম্বর ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের কাছেও আছে। তারা দরকার হলে ফোন করেন।
অপর একজন বলেন, এখানে মোবাইলফোন খুব দরকারি। কারন, এই পাহাড়ে কোনো সমস্যা হলো, আমরা তখন মোবাইলফোনেই সব জানাই। এভাবেই এখানে আত্মীয়-স্বজনদের খবর রাখি। কেউ বাধা দেয়নি।

উখিয়া ও কুতুপালং এলাকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হিসাবে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বাংলাদেশি বিভিন্ন মোবাইলফোন অপারেটরের সিম আছে ৫ লাখের বেশি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব ফোন ব্যবহার করে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন অনেক রোহিঙ্গা।

আমরা কক্সবাজারবাসী’র সমন্বয়ক করিম উল্লাহ কলিম বলেন, যেভাবে সিম দেয়া হচ্ছে, এগুলো কিভাবে নিচ্ছে এবং কারা দিচ্ছে, এর সঙ্গে কারা জড়িত, সরকারকে অবশ্যই তদন্ত করে বের করতে হবে। আমরা মনে করি, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর যথেষ্ট পরিমাণে হুমকি স্বরূপ।

এইচএম/বিএস 
 

আরও পড়ুন