• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৪:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৪:২৩ পিএম

রাষ্ট্রকে পরিশুদ্ধ করতে সাঁড়াশি অভিযান : তথ্যমন্ত্রী        

রাষ্ট্রকে পরিশুদ্ধ করতে সাঁড়াশি অভিযান : তথ্যমন্ত্রী        
ড. হাছান মাহমুদ - ফাইল ছবি

রাষ্ট্রকে পরিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, টানা তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দলীয় অনেক নেতার নৈতিক স্খলন ঘটেছে, যার জন্যেই এই সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতি দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, দেশ যখন অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে, তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা পর পর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। অনেক অনুপ্রবেশকারী দলে ঢুকেছে, আবার অনেকের নৈতিক স্খলন ঘটেছে। সেই কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রকে পরিশুদ্ধ করার লক্ষে আজকে সাঁড়াশি অভিযান চলাচ্ছেন। আর সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রকে, সমাজকে পরিশুদ্ধ করার লক্ষে এবং সব ধরনের অবৈধ, অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার লক্ষ্যে। দল-মত নির্বিশেষে কে কোন পথের কিংবা কোন মতের সেটি বিবেচনা না করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই দেশের ক্যাসিনো সম্রাট দাবি করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, তার আশপাশে যারা বাংলাদেশে ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু করেছিলেন সেই মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, মোসাদ্দেক হোসেন ফালুর সহযোগীদের পাশে রেখে আজকে ক্যাসিনো-জুয়া খেলার বিরুদ্ধে চলা অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার আয়কর রিটার্নে ঘোষণা করেছেন তার আয়ের একটি বড় অংশ ক্যাসিনো থেকে। কারণ ইংল্যান্ডে ক্যাসিনো থেকে ইনকাম করলে সেটার ট্যাক্স দিতে হয় না। ক্যাসিনো সম্রাটকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে এ নিয়ে কটাক্ষ করেন, আর তাদের হাত ধরেই এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে চালু হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলব, একটু আপানাদের চেয়ারম্যানের দিকে তাকান, আপনারা এই সমস্ত কর্মকাণ্ডকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। হিজবুল বাহার করে বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে তাদের মধ্যে থেকে সন্ত্রাসী বানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রকে কলুষিত করেছিলেন।

সমালোচনা বাদ দিয়ে দল-মত নির্বিশেষে চলমান অভিযানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে অভিযান চলছে, এটা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। যারা এর প্রশংসা করতে পারছেন না, এটা তাদের রাজনৈতিক দীনতা এবং তারা যে এটা করতে পারেননি সেই ব্যর্থতা ঢাকার জন্য। তারা যে এই সংস্কৃতি চালু করেছেন সেই ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই নানা ধরনের কথা বলছেন। বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, আসুন দেশকে কলুষমুক্ত করার জন্য দেশ থেকে সবধরনের অনাচার, সব ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড নির্মূল করার জন্য আমরা একযোগে কাজ করি। আপনাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য অহেতুক সমালোচনা করবেন না।
  
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, বিসমিল্লাহ বলে জিয়াউর রহমান এদেশে মদ-জুয়া চালু করেছিলেন। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদ-জুয়া-হাউজি বন্ধ করেছেন। আর এগুলো জিয়াউর রহমান এসে চালু করে দিয়েছেন। 

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।            

এএইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন