• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম

অটোরিকশা ও ইজিবাইক শ্রমিকদের আমরণ অনশন

অটোরিকশা ও ইজিবাইক শ্রমিকদের আমরণ অনশন

যানজট নিরসনের অজুহাতে শহরের মধ্যে ইজিবাইক বন্ধ ও নগরী থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদের প্রতিবাদে বরিশালে আমরণ অনশন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছে সংশ্লিষ্ট যানের মালিক ও শ্রমিকমরা।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টা হতে নগরীর সদর রোডস্থ অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটি, মহানগর রিকশা-ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

অনশনকালে বক্তারা ‘বরিশাল নগরীতে বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া নির্বিচারে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ না করা এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালার ভিত্তিতে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলার দাবি ও অবিলম্বে প্রশাসন কর্তৃক জব্দকৃত ২ কোটি টাকা মূল্যের ব্যাটারি ও মটর ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়।

শ্রমিক সংগঠনের উপদেষ্টা ও বাসদ বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আমরণ অনশনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- সমাজতান্ত্রিক শ্রমীক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, গণফোরাম জেলার সভাপতি এ্যাডভোকেট হিরন কুমার দাস মিঠু, কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম, গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা আহবায়ক দেওয়ান আ. রসিদ নিলু, নৌ-যান শ্রমীক ফেডারেশন জেলা সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার, বরিশাল জেলা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নবীন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা মোজাম্মেল হক সাগর, শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম, মহসিন মীর, জাহাঙ্গীর হোসেন দিদার প্রমুখ।

এসময় বক্তার বলেন, আমরা ইতিপূর্বে বহুবার নগর পিতার সাথে দেখা করতে গিয়েছি। কিন্তু তিনি দুঃখের বিষয় হলো মেয়র মহোদয় কোন শ্রমিক সংগঠনের সাথে দেখা করেন না। তাই আমরাও দেখা করার সুযোগ পাইনি। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হলে জনসাধারণের সমস্যার কথা শুনতে চান না। তাহলে কি উনি মেয়র হয়েছেন কতিপয় বিত্তবানদের জন?

বক্তারা মেয়রের সমালোচনা করে বলেন, ‘নগর পিতার কাজ হচ্ছে জনগণের সাথে কথা বলে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান করা। কিন্তু বরিশাল সিটি মেয়র তা নাকরে রাজতন্ত্র পরিবারের সদস্যদের মত নিজেকে ঘড়ের ভেতরে আড়াল করে রেখে বিসিসি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে নির্বাচনী ওয়াদা ভুলে গিয়ে মেয়র এখন পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে সাধারণ রিকশা ও অটো শ্রমিক চালকদের পেটে লাথি মারছেন।

সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বক্তারা বলেন, মেয়র মহোদয় আপনি হয়তো জানেন না আপনার দাদা শহীদ আ. রব সেরনিয়াবাত ও আপনার পিতা মন্ত্রী (পদমর্যাদা) আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ সাহেব সারা জীবন এই শহরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে ছিলেন। আপনি তাদের সেই এতিহ্য নষ্ট করবেন না। নিজের জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে পুলিশ দিয়ে নয় বরং নিজ ব্যবস্থাপনায় যত দ্রুত সম্ভব রিকশা ও অটো ইজিবাইক চলাচলের ব্যবস্থা করুন। নয়তো এই অটোর সাথে জড়িত পরিবারের একটি সদস্যরও কিছু হলে সেই দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন