• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০৫:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০৫:১৮ পিএম

ফাহাদ হত্যা : বুয়েটের ৩ শিক্ষার্থী ৫ দিনের রিমান্ডে

ফাহাদ হত্যা : বুয়েটের ৩ শিক্ষার্থী ৫ দিনের রিমান্ডে
আবরার ফাহাদ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার বুয়েটের ৩ শিক্ষার্থীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জাল হোসেন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আরও ১০ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।    

আজ দুপুরে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই তিন শিক্ষার্থী হলেন- শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও মো. আকাশ (২১)। রাফাত বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। মনির বুয়েটের পানিসম্পদ বিভাগের ১৬তম ব্যাচের এবং আকাশ একই ব্যাচের সিই বিভাগের ছাত্র।

গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে রাফাতকে, ডেমরা থেকে মনিরকে ও সন্ধ্যায় ৬টায় গাজীপুরের বাইপাল থেকে আকাশকে গ্রেফতার করা হয়।

রিমান্ডে আরও ১০ ছাত্র

বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন কররলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১০ আসামি হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাতুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী মুনতামির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মোজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাছান রবিন।

উল্লেখ্য, রোববার রাত ৩টার দিকে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ওই রাতেই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।

এমএ/এফসি

আরও পড়ুন