• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:২৮ পিএম

‘সুখী নেপাল, সমৃদ্ধ নেপাল’ কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতির আশ্বাস 

‘সুখী নেপাল, সমৃদ্ধ নেপাল’ কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতির আশ্বাস 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নেপালের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প এবং ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপাল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) কাঠমান্ডুতে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল (প্রচণ্ড) আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে রাষ্ট্রপতি এ আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ককে চমৎকারভাবে তুলে ধরে এবং গণতন্ত্রের পথে দেশটির অভিযাত্রার জন্য অভিনন্দন জানান।

‘সুখী নেপাল, সমৃদ্ধ নেপাল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশও ভিশন- ২০২১ এবং ২০৪১ গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে দু’দেশই পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে লাভবান হতে পারে।

সাবেক মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড দু’বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন।

কাঠমান্ডুর ফেয়ারফিল্ড ম্যারিয়ট হোটেলে প্রচণ্ড সাক্ষাৎ করতে আসলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল সবসময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে একই মনোভাব পোষণ করে এবং একে অপরকে সমর্থন করে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।

প্রেস সচিব জানান, সাক্ষাতের সময় প্রচণ্ড বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক চমৎকার। এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বহুপাক্ষিক পর্যায়ে উন্নীত করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে এই সম্পর্ক কয়েকগুণ বাড়ানো যেতে পারে।

এসময় প্রচণ্ড সড়ক, রেল, আকাশপথে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন বলে জানান প্রেস সচিব জয়নাল।

রাষ্ট্রপতি হামিদ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রতি নৈতিক ও মানবিক সমর্থনের জন্য নেপালের জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১২ ও ২০১৩ সালে নেপালের ১১ জন বিশিষ্ট রাজনৈতিককে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা প্রদানের কথা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদী ভিত্তিতে তাদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশে অবস্থানরত ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয় বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। সবার বৃহত্তর স্বার্থে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

তিনি বিদ্যমান সহযোগিতায় আরও গতি সঞ্চার করতে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত সফর বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সফরের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘এতে বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উপনীত হবে।’

ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশ এবং নেপাল ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ও একসঙ্গে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

টিএফ

আরও পড়ুন