• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ১২:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ০১:০৫ পিএম

কেরাণীগঞ্জে আগুনে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু 

কেরাণীগঞ্জে আগুনে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু 
বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে

কেরাণীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। 

মৃতরা হলেন- ইমরান, রায়হান, বাবলু, সালাউদ্দিন, খালেদ, সুজন, জিনারুল, আলম, জাহাঙ্গীর ও সাজু। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ১জন। তাদের সবাই গুরুতর দগ্ধ ছিলেন। পুরো দেহই ঝলসে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত কারও মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। নিখোঁজদের খোঁজে এরই মধ্যে হাসপাতালে ভিড় করেছেন স্বজনরা। কিন্তু কুলকিনারা করতে পারছেন না কেউ।

হাসপাতালে নিখোঁজ মাহবুবের বাবা গোলজারের আহাজারি- ছবি: জাগরণ 

প্লাস্টিক কারখানার কর্মী মাহবুবকে খুঁজে পাচ্ছেন না তার চাচা সুজন। মাহবুবের বাড়ি রংপুরের পীরগাছায়। সুজন বলেন, টিভি দেখে খবর পাই। পরে ওকে মোবাইল করে বন্ধ পাই এবং তার বাবাকে জানাই। পরে আমরা ঢাকায় আসি। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় প্রাইম প্যাক প্লাস্টিক নামের একটি কারখানায় আগুন লাগে। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো কারখানায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট শুরু করে আগুন নেভানোর কাজ। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ততক্ষণে হতাহত হন অনেকেই। আগুনে ঘটনাস্থলেই জ্বলে অঙ্গার হন এক শ্রমিক। ঢাকা মেডিকেলে আরও ২৬ জন ভর্তি আছেন। কারও অবস্থাই ভাল না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

অধিকাংশেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলে জানান শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন। 

আরএম/বিএস 
 

আরও পড়ুন