স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমনন্ত্রী গত ১০ বছরে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। বিদ্যুতায়ন, সুপ্রেয় পানি সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া আছে। সেগুলো সারা বাংলাদেশের সর্বত্রই বাস্তবায়ন করা হবে। নড়াইল জেলাও তার বাইরে নয়। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে নড়াইল এলজিইডির কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নড়াইল-গোপালগঞ্জের সীমান্তবর্তী কালনা ফেরিঘাটে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় অবহেলিত নড়াইল জেলার উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

নড়াইলের উন্নয়ন সম্পর্কে মন্ত্রী আরও বলেন, নড়াইলের কৃতি সন্তান ক্রিকেটার মাশরাফি আমার সাথে দেখা করেছে, ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছে। নড়াইলের উন্নয়নের ব্যাপারেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। আশা করি সারা বাংলাদেশ যেমন উন্নত হবে, নড়াইল তার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে না। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি জিয়ারত করেন। এর আগে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ জেলা সফরের জন্য বিমানযোগে ঢাকা হতে যশোর বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। পরে সড়ক পথে নড়াইল হয়ে গোপালগঞ্জে যান। যাত্রাপথে কালনা ফেরিঘাটে পৌঁছালে সেখানে অপেক্ষমাণ নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার এলজিইডি বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তারা মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা বরণ করে নেন এলজিইডি নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র সোমদ্দার, গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী  এ.কে ফজলুল হক, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র, লোহাগড়া উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী অজিত মজুমদার, এলজিইডি নড়াইলের উপ-প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। বিকালে আবারও সড়ক পথে যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে বিমানযোগে ঢাকায় ফিরে যান।

কেএসটি