• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০১৯, ০৫:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৪, ২০১৯, ০৫:৫১ পিএম

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্লাড ব্যাংক করবে এফবিসিসিআই

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্লাড ব্যাংক করবে এফবিসিসিআই

ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সন্ধানী অথবা রেডক্রিসেন্টের সহযোগিতায় এই ব্লাড ব্যাংক করা হবে।

রোববার (৪ আগস্ট) এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘দেশব্যাপী ডেঙ্গুর বিস্তার রোধকল্পে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। 

শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মবিন খান, চিকিৎসক শরিফ, এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ, কার্যনির্বাহী সদস্য হাবিবুল্লাহ ডন, আবু মোতালেব প্রমুখ।

এফবিসিসিআই সভাপতি ফজলে ফাহিম বলেন, ব্লাড ব্যাংক করার বিষয়ে ইতোমধ্যে আমরা রেডক্রিসেন্টের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। আশাকরি আজ অথবা কালকের মধ্যেই আমরা জানতে পারব। এছাড়া আর একটি প্রতিষ্ঠান সন্ধানীর নাম এসেছে। এই দুই ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় এফবিসিসিআই ব্লাড ব্যাংক করব। সেইসঙ্গে আমাদের জেলা চেম্বার এবং পুরান ঢাকায় যেসব অ্যাসোসিয়েশন আছে তাদের সঙ্গে কথা বলে এটা কিভাবে দেশব্যাপী করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা আগাব।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের বিষয়ে কথা এসেছে। এটা (কিট) কিভাবে আনা যায় সে বিষয়ে আমাদের (এফবিসিসিআই সদস্য) যারা কিট আমদানিকারক আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। এজন্য এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে কোনো সহযোগিতা করা গেলে আমরা সেটা করতে প্রস্তুত। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সব হাসপাতালে কিট সরবরাহ করা সম্ভব না বলেও জানান ফাহিম। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই যদিও অনেক বড় পরিবার, তারপরও আমাদের ওই সক্ষমতা নেই বাংলাদেশের সব হাসপাতালে কিট বা মলম বিতরণ করা। তবে আমাদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্মাণাধীন যেসব বিল্ডিং আছে সেখানে পরিবেশ যাতে ঠিক থাকে সে জন্য উদ্যোগ নেব।

এর আগে প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন, আগে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট ১২০ টাকায় পাওয়া যেত। মে মাসে এই কিটের দাম বেড়ে হয় ১৫০ টাকা। জুনে তা আরও বেড়ে ১৮০ টাকা হয়। আর এখন ৪৫০ টাকা দিয়েও ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে এফবিসিসিআইকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এর প্রেক্ষিতে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমদানিকারকরা কার কাছে কতটুকু বিক্রি করবে তা মনিটরিং করার সক্ষমতা এফবিসিসিআইয়ের নেই। তবে কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সেই লক্ষ্যটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

এআই/টিএফ

আরও পড়ুন