• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০১৯, ০৭:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০১৯, ০৯:২৪ পিএম

এরশাদের কবরস্থান কিনতে ৫ কোটি টাকা দেবেন কাজী মামুনুর রশিদ

এরশাদের কবরস্থান কিনতে ৫ কোটি টাকা দেবেন কাজী মামুনুর রশিদ

মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শেষ ঠিকানা কোথায় হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দলটির শীর্ষনেতারা।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দীর্ঘ তিন ঘন্টা জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভা হয়। সভায় এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও তার মৃত্যুর পর কবরস্থান কোথায় হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় দেশের বাইরে থেকে ভাল চিকিৎসক আনা যায় কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয়।

পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ এরশাদের কবরস্থানের জায়গা কেনার জন্য ৫ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন সভায়।

জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে দলের ৩৮ জন প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএম কাদের জানান, এরশাদের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ (বুধবার) তাকে দেখতে সিএমএইচে গিয়েছিলাম। তিনি আমার কণ্ঠ শুনে চোখ ও হাত নাড়িয়েছেন।

যৌথসভার বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় শুরুতেই জিএম কাদের এরশাদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ সময় কেঁদেও ফেলেন তিনি। সভায় উপস্থিত বেশিরভাগ নেতা এরশাদের কবরস্থানের জন্য জায়গা কিনে পাবলিক প্লেসে করার পক্ষে মতামত দেন। যদিও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য সেনানিবাস অথবা আসাদগেটের বিপরীতে সংসদ প্রাঙ্গণে এরশাদের কবরের কথা বলেছেন।

সভায় পার্টির নেতারা এর বিরোধিতা করে বলেন, এরশাদ দেশের ১৭ কোটি মানুষের নেতা। তার কবরস্থান যদি সেনানিবাসে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার কবরস্থান জিয়ারত করতে যেতে পারবেন না।

সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুর আদাবরে জায়গা কিনে কবরস্থান করার প্রস্তাব দেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আদাবরে না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জায়গা এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দিবো। এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ পাবলিক প্লেসে এরশাদের কবরস্থান করার দাবি জানিয়ে বলেন, এরশাদের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ কোটি টাকা দেবো। তিনি আরও বলেন, স্যারকে যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নেয়া হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় খরচও আমি বহন করবো।

সভায় বক্তব্য রাখেন এমএ সাত্তার, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ টি ইউ তাজ রহমান, আজম খানসহ আরও অনেকে।

সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এরশাদ মূলত মাইলিড প্লাস্টিক সিনড্রোম রোগে আক্রান্ত। সভায় দেশের বাইরে থেকে চিকিৎসক আনার বিষয়েও আলোচনা হয় বলেও জানান তিনি।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন