• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৪:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৪:১০ পিএম

ধর্ষণের শাস্তি ‘আমৃত্যু কারাদণ্ড’ বিধানের দাবি বি. চৌধুরীর

ধর্ষণের শাস্তি ‘আমৃত্যু কারাদণ্ড’ বিধানের দাবি বি. চৌধুরীর
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী-ছবি : জাগরণ

১২ বছরের নিচে শিশু ধর্ষণের শাস্তি আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান করার দাবি জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ভয়ঙ্করভাবে শিশু ও নারী ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের বুকে আমাদের মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন (২০০৩)-এর সুষ্ঠু প্রয়োগের দাবিতে বিকল্পধারা আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনে বিদ্যমান আইনটি শক্ত হলেও এর প্রয়োগ না থাকার কারণে দেশে শিশু ও নারী নির্যাতনের হার ভয়ঙ্করভাবে বাড়ছে। এতে বিশ্বের বুকে আমাদের মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বিদ্যমান আইনে ধর্ষণকারীর ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তির পরিবর্তে ‘আমত্যু, শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘শিশু ধর্ষণ’ও ‘ধর্ষণজনিত কারণে ধর্ষিতার মৃত্যু’ হলে-মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার তরফ থেকে ক্ষমা করবেন না জাতি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে এ ধরনের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, ধর্ষকের ছবি ও পরিচয় পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে বড় করে প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে। ১২ বছরের নিচে শিশু ধর্ষণের শাস্তি ‘আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান করার কথা বিবেচনায় আনতে হবে। ভারতীয় আইনে শিশু ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসির বিধান রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বি. চৌধুরী বলেন, ধর্ষণ সম্পর্কিত বিচার-আপিল ইত্যাদি ন্যূনতম সময়ে শেষ করার ব্যবস্থা করা উচিত।

তিনি টিভি, সিনেমা-নাটক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণ চিত্র না দেখানোর বিধি বিবেচনার আহ্বান জানান। ধর্মীয় অনুশাসন ধর্ষণকে প্রত্যাখ্যান করে এ কথা উল্লেখ করে বি. চৌধুরী এই বাস্তবতাকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করার আহ্বান জানান।

জেল থেকে বের হবার পরও কোনও ধর্ষকের জন্য সরকারি-বেসরকারি চাকরি নিষিদ্ধ করার কথা চিন্তা করার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা নিশ্চিত করলে সমাজ নির্মল হবে।

বি. চৌধুরী শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই বাহিনীতে মহিলা সদস্যদের সংখ্যা বাড়াতে হবে, উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং তাদের আরও ক্ষমতায়ণ করতে হবে।

তিনি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রচারণা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ষণের আশঙ্কা কমানোর জন্য মা-বোন ও শিশুদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, সহ সভাপতি এনায়েত কবির, দফতর সম্পাদক ওয়াসিমুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, সহ সভাপতি আম্বিয়া খাতুন শীলা, ওবায়েদুর রহমান মৃধা, যুবধারার সভাপতি আসাদুজ্জামান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সারোয়ার, বাগসদের সভাপতি সরদার শামস আল মামুন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লা আল মেহেদী, মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বিকল্পধারার সহদফতর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলু, শ্রমজীবীধারার সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুকসহ আরও অনেকে। 

জেডএইচ/এসএমএম

আরও পড়ুন