• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৮:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৮:২০ পিএম

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই : ফখরুল

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই : ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে আমরা যখন বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস পালন করছি, তখন আমাদের দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। অনেকেই বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগকেও সঙ্গে রাখতে হবে। আমি এ কথার সঙ্গে একমত নই। কারণ আওয়ামী লীগ এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এটা একটা ফ্যাসিস্ট শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাই অন্যসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই ফ্যাসিস্ট শক্তির মিল খোঁজার কোনো কারণ আছে বলেও আমি মনে করি না।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে তোপখানা রোডের শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস ও আমরা’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে শুধু বাংলাদেশে নয়, সামগ্রিকভাবে গোটা বিশ্বে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে, তার মধ্যে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। এই পড়ে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ আছে। সরকার পুরোপুরিভাবে ওই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজস করে বাংলাদেশের জনণের অধিকার হরণ করে নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে তারা সম্পূর্ণভাবে তারা একটা পাপেট গভর্নমেন্টে পরিণত হয়েছে। 

তিনি বলেন, যারা আজকে বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে, যারা বিশ্ব অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের একটা ক্রীড়নক হয়ে এই সরকার বসে আছে। যে কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা, আসামের নাগরিকপঞ্জির ১৯ লাখ মানুষকে রাষ্ট্রহীন করে বাংলাদেশি বলা। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর থেকে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ ৯ বছর সংগ্রাম করেছেন। লড়াই করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। আজকে প্রায় ১৮ মাস যাবত একটা সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। 
এই সরকার সঙ্গতকারণেই তাকে কারাগারে রেখেছে- কারণ তিনি যদি বাইরে থাকেন তাহলে সরকারের পক্ষে সবকিছু একতরফাভাবে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
 
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বের করতে হবে। আসুন আমরা আমাদের ছোটখাটো যে সমস্যাগুলো আছে অর্থাৎ মতানৈক্য আছে, সেগুলোকে পাশে রেখে সবাই একসঙ্গে কাজ করি। 

গণস্বাস্থ্যর প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের সূত্র ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ঐক্যফ্রন্টকে তিনি এখন আর অ্যাকটিভ দেখতে পাচ্ছেন না। এটা সত্য কথা বলেছেন। কিন্তু একটিভটা কোন দিক দিয়ে নয়? আমরা আমাদের কাজগুলো করছি। দলগুলোকে সংগঠিত করছি। আমরা সংগঠনগুলোকে সংগঠিত করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নেমে আসতে পারি, সেজন্য কাজ করছি। আমি জানি অন্য দলগুলো প্রত্যেকেই কাজ করছেন। এই কাজের মধ্যে দিয়ে অবশ্যই জনগণের চাহিদার কারণেই অতিদ্রুত এই ঐক্য তৈরি হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আজকে সব রাজনৈতিক দল যদি একত্রিত না হয় তাহলে সেই লড়াইয়ে সফল হওয়া যাবে না। সে কারণেই নির্বাচনের পূর্বে আমরা ঐক্যফ্রন্ট ও জোট তৈরি করেছিলাম। সেগুলো অটুট আছে। কোনো ভাঙন ধরেনি।
 
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, জনসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যর উপদেষ্টা এসএম আকরাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন