• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৯:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৯:০২ পিএম

সরকারি দলের যুবকদের রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি : কর্নেল অলি

সরকারি দলের যুবকদের রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি : কর্নেল অলি
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, সরকারি দলের ছাত্র ও যুবকদের রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কর্মকাণ্ড জাতিকে হতবাক করেছে। অবশ্যই এতে আশ্চর্য হওয়ায় কিছু নেই।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এলডিপির এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

কর্নেল অলি আহমদ বলেন, রূপপুরের বালিশ কাণ্ড, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, ফরিদপুর হাসপাতালের পর্দা কাণ্ড, খাগড়াছড়ির ডেউ টিনসহ হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবর ইতিমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সরকার জানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, ব্যাংকের টাকা লুটের সঙ্গে কারা জড়িত, শেয়ার কেলেঙ্কারির কারা জড়িত। প্রায় আড়াই লাখ হাজার কোটি টাকা কীভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে নিশ্চই সরকার এ ব্যাপারে অবগত আছে। কিন্তু কোন বড় দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যার ফলশ্রুতিতে সরকারি দলের যুবকদের রন্ধে দুর্নীতি।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবৎ আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে দলীয়করণ এবং রাজনীতি করণের ফলে অদক্ষ শিক্ষকরা ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার গৌরব প্রায়হারাতে বসেছে। এখন কোনো সম্মানজনক অবস্থানে নেই। অন্যান্য পাবলিক বিশ্বদ্যালয়ের একই অবস্থা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোতে সঠিক নীতিমালা না থাকার কারণে শিক্ষার মান নিম্নমুখী। ইদানিং আমরা লক্ষ্য করেছি শিক্ষা অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হয়ে অবৈধ টাকা অর্জনের জন্য ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা লিপ্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও পিছিয়ে নেই।

কর্নেল অলি বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে অনতিবিলম্বে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গ্রেপ্তার করা হোক। একই সঙ্গে তিনি যাদের ঘুষ দিয়েছেন ছাত্রলীগের সেই নেতাদের গ্রেপ্তার করা হোক। এই দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য ফোনালাপে প্রকাশ পেয়েছে। সুতরাং নতুন ভাবে কোন সাক্ষী ও প্রমাণের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

টিএস/টিএফ

আরও পড়ুন