পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করছে বিএনপি। সমাবেশের অনুমতি না মিললেও আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টার পর থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিতে শুরু করেন বিএনপি ও এর সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিকে পুলিশ সদস্যরা সমাবেশস্থলের চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন। 

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা, ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী অসম চুক্তি ও কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে জনসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শনিবার বেলা ২টা থেকে জনসমাবেশ শুরু হওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। 
 
জনসমাবেশের অনুমতি চাইতে আজও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে যান বিএনপির প্রতিনিধি দল। 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ দৈনিক জাগরণকে জানান, জনসমাবেশের অনুমতির জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সকালে ডিএমপিতে যান। কিন্তু ডিএমপি কমিশনার ব্যস্ত থাকায় আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার পর আবারও প্রতিনিধি দল ডিএমপিতে যান। আমাদের এ শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ অবশ্যই বেলা ২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হবে। 

সমাবেশের বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, অনুমতি না পেলে সমাবেশ করতে পারবে না বিএনপি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ‘দেশের স্বার্থবিরোধী’ চুক্তি বাতিল ও বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে ও রোববার দেশের সকল জেলা সদরে জনসমাবেশ ঘোষণা করে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এদিকে, জনসমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টনে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একদিকে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও অন্যদিকে নয়াপল্টন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর নেতাকর্মীরা এখন মুখোমুখি অবস্থানে।

দুপুর ১টা থেকে খণ্ড খণ্ডভাবে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

জনসমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নয়াপল্টনের আশপাশেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে সাঁজোয়া যান এবং জলকামানবাহী গাড়ি। 
 
টিএস/বিএস