- ঢাকা
- বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ম কংগ্রেসে রাশেদ খান মেননকে সভাপতি, ফজলে হোসেন বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্যের পলিটব্যুরো ঘোষিত হয়েছে। কংগ্রেসের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে পার্টির নেতৃত্ব আগামী কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাব পাস হয়। এতে ৬২ জনকে কেন্দ্রীয় সদস্য ও ২৮ জনকে বিকল্প সদস্য করে ৯১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়। এ ছাড়াও কমরেড শেখ সাইদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কন্ট্রোল কমিশন ঘোষণা করা হয়।
২ নভেম্বর সকাল ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১০ম কংগ্রেসের উদ্বোধন হয়। ৫৭টি সাংগঠনিক জেলার ৫৭২ জন প্রতিনিধি এবং ৭৯ জন পর্যবেক্ষক সমন্বয়ে ৬৫১ জনের উপস্থিতিতে ৪ দিনব্যাপী বিভিন্ন অধিবেশন চলে।
ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বাংলাদেশে নিয়োজিত চীনা মিনিস্টার অব কাউন্সিল, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনামের সেকেন্ড সেক্রেটারি রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। রাশিয়া ফেডারেশেনের কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়া, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়াসহ ৫৭টি কমিউনিস্ট ও সোসালিস্ট পার্টি ১০ম কংগ্রেসের সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায়।
ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস অধিবেশনের ৩ দিনের সেশনে মোট ৮টি প্রস্তাব পাশ হয়। বিশেষভাবে বৈষম্য ও দারিদ্র্য প্রসঙ্গে, নারীর প্রাণ সহিংসতা, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অবস্থান, উন্নয়নের সুফল নস্যাতে দুর্নীতি, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, কাজের নিশ্চয়তা, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য, তিস্তা প্রসঙ্গে ইত্যাদি রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহিত হয়।
এ ছাড়াও বিশেষভাবে ২০২১ সালে ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালন’ এবং ২০২০ সালে মুক্তিযুদ্ধের নায়ক মহান জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
পার্টির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১০ম কংগ্রেসে রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক তুলে ৬ জন নেতা বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেস বর্জনের আহ্বান জানালেও সেই আহ্বানে পার্টি জেলাসমূহ কোনো সাড়া দেয়নি বরং কংগ্রেসে উপস্থিত হয়ে উভয় মত পর্যলোচনা করে প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতভাবে পার্টির কেন্দ্রীয় দলিলের সঙ্গে প্রস্তাব পাশ করে। এবারের কংগ্রেস নির্বাচন প্রসঙ্গে নিজস্ব শক্তির উপর জোর দেয়া হয় এবং পার্টির নির্বাচনি মার্কা ‘হাতুড়ি’ নিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়।
কংগ্রেসে জোট সম্পর্কে বলা হয়, ১৪ দল কেবল কেন্দ্রে কার্যকর থাকলেও তৃণমূলে কার্যকর নেই। কংগ্রেসে ১৪ দলকে তৃণমূলে কার্যকরি করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি দুর্নীতি, বৈষম্য, মাদক, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইসহ কংগ্রেসে গৃহিত প্রস্তাবসমূহের ভিত্তিতে নিজস্ব শক্তি বিকাশের আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, রাশেদ খান মেনন ২০০০ সাল থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি পদে রয়েছেন। এবার সভাপতি হওয়ায় সব মিলিয়ে পঞ্চম বারের মতো তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে ১৯৯২ সালে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টি এক হওয়ার পর অমল সেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মেনন। ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদেই ছিলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির ৯১ সদস্যর কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন -
১৫ সদস্যবিশিষ্ট পলিটব্যুরো
১ কমরেড রাশেদ খান মেনন
২ কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা
৩ কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক
৪ কমরেড ড. সুশান্ত কুমার দাস
৫ কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক
৬ কমরেড নুর আহমদ বকুল
৭ কমরেড কামরূল আহসান
৮ কমরেড হাজেরা সুলতানা
৯ কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ
১০ কমরেড এ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ
১১ কমরেড জ্যোতি শংকর ঝন্টু
১২ কমরেড হাজী বশিরুল আলম
১৩ কমরেড নজরুল ইসলাম হক্কানী
১৪ কমরেড আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান
১৫ কমরেড নজরুল হক নিলু
কেন্দ্রীয় কমিটি
১৬ কমরেড তপন দত্ত চৌধুরী
১৭ কমরেড করম আলী
১৮ কমরেড এ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান
১৯ কমরেড সালেহা সুলতানা
২০ কমরেড নজরুল ইসলাম
২১ কমরেড এ্যাড. নজরুল ইসলাম
২২ কমরেড শেখ সিরাজুল ইসলাম
২৩ কমরেড লিয়াকত আলী লিকু
২৪ কমরেড শরীফ শামশির
২৫ কমরেড মোসাদ্দেক হোসেন লাবু
২৬ কমরেড রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল
২৭ কমরেড এ্যাড. আবু হানিফ
২৮ কমরেড রফিকুল ইসলাম
২৯ কমরেড সিকান্দর আলী
৩০ কমরেড হবিবর রহমান
৩১ কমরেড এ্যাড. কাজী মাসুদ
৩২ কমরেড দীপংকর সাহা দিপু
৩৩ কমরেড আনোয়ারুল হক বাবলু
৩৪ কমরেড আবু সাঈদ মিয়া
৩৫ কমরেড আবদুল খালেক
৩৬ কমরেড মজিবর রহমান
৩৭ কমরেড এ্যাড. মিনা মিজানুর রহমান
৩৮ কমরেড অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল
৩৯ কমরেড পাভেল ইসলাম
৪০ কমরেড আমিরুল হক আমিন
৪১ কমরেড রেজাউল করিম রেজা
৪২ কমরেড আব্দুল মজিদ
৪৩ কমরেড এ্যাড. এন্তাজুল হক বাবু
৪৪ কমরেড এ্যাড. ফিরোজ আলম
৪৫ কমরেড এ্যাড. জোবাইদা পারভিন
৪৬ কমরেড জাকির হোসেন রাজু
৪৭ কমরেড ইন্দ্রানী সেন শম্পা
৪৮ কমরেড সাব্বাহ আলী খান কলিন্স
৪৯ কমরেড মিজানুর রহমান
৫০ কমরেড এ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিকী
৫১ কমরেড আবিদুর রহমান কাবুল
৫২ কমরেড হিমাংশু সাহা
৫৩ কমরেড এ্যাড. আকসির এম চৌধুরী
৫৪ কমরেড আবুল হোসাইন
৫৫ কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন
৫৬ কমরেড রবিন সরেন
৫৭ কমরেড আব্দুল মাবুদ
৫৮ কমরেড আনসার মোল্লা
৫৯ কমরেড সাব্বির হোসেন
৬০ কমরেড এ্যাড. টিপু সুলতান
৬১ কমরেড দেবাশীস প্রমাণিক দেবু
৬২ কমরেড মহিবুল্লাহ মোড়ল
কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য
১ কমরেড সদরুল ইসলাম
২ কমরেড মহিউদ্দিন আহমদ
৩ কমরেড মফিদুল ইসলাম
৪ কমরেড জাকির হোসেন
৫ (ঝিনাইদহ) সংরক্ষিত
৬ (বগুড়া) সংরক্ষিত
৭ কমরেড এ্যাড. লোকমান হোসেন
৮ (ঠাকুরগাঁও) সংরক্ষিত
৯ কমরেড অশোক সরকার
১০ (গাইবান্ধা) সংরক্ষিত
১১ কমরেড রুহুল আলম মাস্টার
১২ কমরেড তপন কুমার রায়
১৩ কমরেড শরীফ চৌহান
১৪ কমরেড হাফিজ সরকার
১৫ কমরেড এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু
১৬ কমরেড আজহার আলী
১৭ কমরেড আশরাফুল হক তোতা
১৮ কমরেড কিশোর রায়
১৯ কমরেড শাহানা ফেরদৌসী লাকী
২০ কমরেড মুর্শিদা আখতার নাহার
২১ কমরেড দিল আফরোজ খানম
২২ কমরেড গোলাম নওজব চৌধুরী
২৩ কমরেড তালুকদার মোঃ শাহজাহান
২৪ কমরেড মোঃ সবদুল হোসেন খান
২৫ কমরেড বেনজির আহমেদ
২৬ কমরেড কাজী মাহমুদুল হক সেনা
২৭ কমরেড ফরিদা আফরোজ চৌধুরী
২৮ কমরেড মুতাসিম বিল্লাহ সানী
২৯ কেন্দ্রীয় কমিটিতে পরবর্তীতে ১জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন।
কন্ট্রোল কমিশন
১ কমরেড শেখ সাইদুর রহমান চেয়ারম্যান
২ কমরেড আব্দুল হক সদস্য
৩ কমরেড বিশ্বজিৎ বাড়ৈ সদস্য
টিএস/ এফসি
