• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯, ১০:২৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯, ১০:২৭ এএম

দুই সিটি নির্বাচন

রাজধানীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অন্তঃকোন্দল, সংঘাতের আশঙ্কা 

রাজধানীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অন্তঃকোন্দল, সংঘাতের আশঙ্কা 

রাজধানীর দুই সিটি নির্বাচন সামনে রেখে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, পাড়া-মহল্লায় হানাহানির আশঙ্কা রয়েছে। সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পাশাপাশি মনোয়নপত্র ক্রয় এবং জমা দেয়ার পরই ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ ওয়ার্ডে পেশিশক্তি বলয় ও আওয়ামী লীগ বলয় তৈরি হয়েছে। মনোনয়ন, দলীয় পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা, আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন উন্নয়নকাজের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল এতটাই বেড়েছে যে, প্রতিদিন রাজধানীর কোথাও না কোথাও ছোট খাটো মারামারি, হানাহানির ঘটনা ঘটছে। দলের নেতারা মনে করেন, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জেতার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য মন্ত্রী-এমপি এবং জন প্রতিনিধিদের এলাকায় গিয়ে জনগণের সঙ্গে কাজ করতে দলের হাইকমান্ড থেকে বলা হয়েছে।

দেখা যায়, নিজ দলের প্রতিপক্ষকে বা বিদ্রোহী প্রার্থীকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায়- তা নিয়ে ব্যস্ত অনেকে। এমনকী অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন না করে নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ারও অভিযোগ আছে কারো কারো বিরুদ্ধে। তবে হাইকমান্ড এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দ্রুত এর নিরসন করা সম্ভব না হলে আগামী সিটি নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিল ঘোষণা ও মনোয়নপত্র নেয়ার পরই রাজধানীর কোনো না কোনো ওয়ার্ডে অভ্যন্তরীণ বিরোধ, সংঘাত, মারামারি-সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারের খেলায় মেতে উঠেছে নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ এবং ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলামসহ ৭০ জন উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তার বরাবরে সতর্কতার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার, গোয়েন্দা বিভাগসহ বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি অযথা মারমুখী আচরণ করা যাবে না। ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যাবে না। পাশাপাশি হটস্পট চিহ্নিত করে টহল জোরদার করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেউ যদি নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ চলছে। পেশাদার অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ১২ ঘণ্টা পর পর দায়িত্বরত এলাকার তথ্য হালনাগাদ করে পুলিশ কমিশনার বরাবরে জানানোর পাশাপাশি কোনো বাড়িতে নতুন ভাড়াটিয়া এলে তাদের তথ্য সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ডিএমপি ডিসি মিডিয়া মাসুদুর রহমান বলেন, মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযানও অব্যাহত থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ কোনো পক্ষপাতিত্ব করবে না। অনেকেই মনে করছেন, পুলিশ হয়তো বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসাতে সহায়তা করবে। কিন্তু এ ধারণা ভুল। পুলিশের পক্ষে এটা সম্ভব না। নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দানে প্রায় ২০ হাজার পুলিশ সদস্যকে ভিআইপি ডিউটিসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। এরইমধ্যে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এইচ এম/ এফসি

আরও পড়ুন