• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২১, ১২:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩, ২০২১, ১২:৩২ পিএম

তীব্র দাবদাহে পচন ধরেছে আম-লিচুর বাগানে

তীব্র দাবদাহে পচন ধরেছে আম-লিচুর বাগানে

রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলতি মৌসুমের শুরুতে অনুকূল আবহাওয়ায় আম ও লিচুর বাগানে গত বছরের সমপরিমাণ ফল ধরেছে। তবে সম্প্রতি তীব্র খরা ও পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আম ও লিচুর ফলনে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নতুন ও পুরাতন মিলে প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। গত মৌসুমে এই এলাকায় আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৫০ মেট্রিক টন এবং উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন আম। এ বছর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অপর দিকে এই এলাকায় নতুন পুরোনো মিলে প্রায় একশ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় লিচুতে বাম্পার ফলন আশা করছেন চাষিরা।

গত কয়েক বছর থেকে এই অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়ার বিরাজ করায় চাষিরা বিভিন্ন ধান-গমসহ ফসল উৎপাদন করে লোকসানের মুখে পড়ছেন। যার কারণে তারা স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় ফসলি জমিগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির আম ও লিচুর গাছ রোপণ করছেন।

স্থানীয় চাষিরা জানান, গত বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ বছর বেশির ভাগ আম ও লিচু বাগানে মুকুল হয়। কিন্তু মৌসুমের শুরু থেকে কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেক মুকুল ও কুঁড়িগুলো শুকিয়ে ঝড়ে যায়। তার ওপর এবার মাত্রারিক্ত দাবদাহ হওয়ায় অনেক বাগানে আম ও লিচুতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। তীব্র দাবদাহে লিচুর উপরিভাগের অংশ পুড়ে ও ফেটে যাচ্ছে। চাষিরা ফেটে যাওয়া ও পচন রোধে বিভিন্ন প্রতিরোধক ব্যবহার করেও পর্যাপ্ত সুফল পাচ্ছে না।

উপজেলায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, “আম-লিচু সাধারণত দুটি কারণে পচন ধরতে পারে। একটি হচ্ছে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। অপরটি হলো আম ও লিচু ছিদ্রকারী মাছি পোকার কারণে হতে পারে। আর সূর্যের তাপ রোধে লিচুর গাছে নেট বা জাল ব্যবহার করে  অনেক অংশে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।”

বাগানমালিক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “এবার বৃষ্টিপাত হয়নি। তার ওপর এখন অনেক তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এতে আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যার কারণে এবার ব্যবসায়ীরা আগাম আম ও লিচুর বাগান কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূঁইয়া বলেন, “বৈরী আবহাওয়ার কারণে মৌসুমের শুরু থেকে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম। যার কারণে তাপমাত্রাও অনেক বেশি হয়েছে। এতে করে আম-লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বাগানগুলোতে রোগবালাই কমাতে সঠিক মাত্রায় স্প্রে করলে পচন ও পোকামাকড় থেকে অনেক অংশে রেহাই পাওয়া সম্ভব।”