• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯, ১০:০৫ এএম

৪দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

৪দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
অনশনরত সুখী আক্তার-ছবি: জাগরণ

 

শরীয়তপুরের সরদারকান্দি গ্রামে বিয়ের দাবিতে ৪দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন সুখী আক্তার নামে এক তরুণী।

জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে সুখী আক্তার তার প্রেমিক রমজান সরদারের বাড়িতে অনশনে বসেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে প্রেমিকার অনশন অবস্থা দেখে প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালী ইউনিয়নের সরদারকান্দি গ্রামের আবদুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে রমজান সরদার। তার নানা বাড়ি একই উপজেলার আরশীনগর ইউনিয়নের চর মহিষখালী হারুণ বালারকান্দি গ্রামে। সেখানে রমজান সরদার প্রায়ই বেড়াতে যেতেন। নানা বাড়ির পাশেই সুখী আক্তারের বাড়ি। সেখানেই উভয়ের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রেমিকা সুখী আক্তার প্রেমিক রমজান সরদারের বাড়ি চলে আসেন এবং বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।

এ ব্যাপারে সুখী আক্তার বলেন, আমার সঙ্গে রমজানের ৬ মাসের প্রেমের সম্পর্ক। আমি রমজানকে ভালবাসি। সে আমাকে বিয়ে করবে বলেছে। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। তাই আমি ওর কাছে চলে এসেছি। আমি এখান থেকে যাবো না। আজ যদি ওর সঙ্গে আমার বিয়ে দেয়া না হয় তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো।

এ ব্যাপারে সুখী আক্তারের বাবা ফিরোজ আলী দেও মুঠোফোনে বলেন, সুখী নামে আমার একটি মেয়ে ছিল। এখন সে মারা গেছে। তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সে কোথায় গেছে আমি জানি না। আর জানতেও চাই না।

রমজান সরদারের বাবা আবদুর রাজ্জাক সরদার বলেন, যেহেতু ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি বলেছিলাম, সুখী যেন তার বাড়ি চলে যায়। তিন বছর পর আমার ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দেবো। কিন্তু সে মানে না। যদিও সুখী আক্তার দাবি করছেন তার বয়স ১৮ হয়েছে।

এ ব্যাপারে ডিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম মাদবর মুঠোফোনে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। সেই মোতাবেক সুখী এবং রমজানের অভিভাবকদের আমার কাছে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু রমজানের অভিভাবক আমার কাছে আসলেও সুখীর কেউ আসেননি। তাছাড়া আমার কাছে মনে হয়েছে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। আমি সখিপুর থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

ওএম/সাইসে