• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯, ০৭:০৯ পিএম

সাড়ে ৪ হাজার পর্যটকের সেন্টমার্টিন যাওয়া হলো না

সাড়ে ৪ হাজার পর্যটকের সেন্টমার্টিন যাওয়া হলো না

 

প্রতিদিনের মতোই ঠিক সময়ে জাহাজে তোলা হয় যাত্রীদের। যাত্রা শুরু করে পর্যটকবাহী জাহাজগুলোও। কিন্তু কিছুদূর যাত্রার পরই শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। ফলে নাফনদ থেকেই সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলো ফেরত আনা হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পর্যটকের সেন্টমার্টিন যাওয়া হলো না।

পর্যটকরা জানায়, সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী ৭টি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে টেকনাফের নতুন জেটি ঘাট সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত পৌঁছার পর হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে জাহাজগুলো আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় টেকনাফে ফেরত আসে জাহাজগুলো।  

সূত্র জানায়, সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী এমভি গ্রিনলাইন-১, এমভি আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান, বে-ক্রুজ, কেয়ারি ক্রুজ, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এলসিটি কাজল পর্যটকদের নিয়ে দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজগুলো ঘণ্টাখানেক আটকা থাকার পর টেকনাফ ঘাটে চলে আসে। জাহাজগুলোতে অতিরিক্তি যাত্রী ছিল বলে দাবি করে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দাবি, সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজগুলো প্রতিদিন ধারাণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। বিশেষ কারণে প্রশাসন না দেখার ভান করে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরির্দশক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সোমবার সকালে পর্যটকটদের নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজগুলো ছাড়ে। এরপর হঠাৎ করে বৈরী আবহাওয়া শুরু হওয়ায় জাহাজগুলোকে নাফ নদের মাঝপথ থেকে ফেরত আনা হয়েছে।

পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের ব্যবস্থাপক শাহ আলম জানান, ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পর্যটকদের নিয়ে তাদের জাহজ দুটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। হঠাৎ করে প্রচণ্ড বাতাস শুরু হলে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য জাহাজগুলো ফেরত আনা হয়। যাত্রীদের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।
     
টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলো ফেরত আনা হয়েছে। জাহাজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে পর্যটকদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে। ভ্রমণের চেয়ে আনন্দের চেয়ে জীবনকে নিরাপদ রাখা জরুরি বলে উল্লেখ করেন ইউএনও।

কেএসটি