• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

৩ নম্বর সংকেত

ঝুঁকি নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল পর্যটকবাহী ৪ জাহাজ!

ঝুঁকি নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল পর্যটকবাহী ৪ জাহাজ!

 

৩ নং সর্তক সংকেত বলবৎ থাকার পরও ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফ দম দমিয়া ঘাট ছেড়ে সেন্টমার্টিন গেল পর্যটকবাহী ৪টি জাহাজ। এসব জাহাজে ঝুঁকি নিয়ে ৪ শতাধিক পর্যটক প্রবাল দ্বীপে ভ্রমণে গেছেন। কিভাবে জাহাজগুলো পর্যটক নিয়ে দ্বীপে গেল তার উত্তর কেউ দিতে পারেননি।
তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দ্বীপে আটকা পড়াদের ফেরত আনার জন্য যাত্রী ছাড়া জাহাজ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কোন জাহাজ দ্বীপে যাওয়ার সময় যাত্রী নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   

জানা যায়, দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়া দেড় হাজার পর্যটককে ফেরত আনার জন্য বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ৪টি জাহাজকে খালি যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু দম দমিয়া জেটি ঘাট থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী এমভি আটলান্টিক ক্রুজ, বে-ক্রুজ, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এলসিটি কাজল পর্যটকদের নিয়ে দম দমিয়া জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টায় দ্বীপে পৌঁছে। এসব জাহাজে ৪ শতাধিক পর্যটক দ্বীপে গেছেন। পরে সেখান থেকে ৪টায় টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজগুলো। তবে এ রিপোর্ট লেখা অবধি এপারে অর্থাৎ দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছায়নি।

এদিকে, বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সর্তক সংকেত বলবৎ থাকার কারণে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে বেড়াতে এসে দেড় হাজারের মতো পর্যটক আটকা পড়েছেন।

বজ্র মেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সমুদ্র বন্দরসমূহে সব ধরনের নৌযান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়াবিদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, তিন নম্বর সর্তক থাকা অবস্থায় যেকোনো ভাবেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল নৌযান চলাচল বিপজ্জনক। এই রুটে কোন জাহাজ চলাচল করলে, যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরির্দশক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘তিন নম্বর সর্তক সংকত থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও কিভাবে পর্যটক বহন করে চারটি জাহাজ সেন্টমার্টিন গেল? বিষয়টি রহস্যজনক। প্রাথমিকভাবে শুনেছি জাহাজগুলো স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি স্বাপেক্ষে দ্বীপে গেছে। তবে যাওয়ার সময় যাত্রী পরেবহনের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, টেকনাফ থেকে খালি জাহাজ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোন জাহাজ যাওয়ার সময় যদি চুরি করে যাত্রী বহন করে, তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবারও (১ মার্চ) এই রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

কেএসটি