• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০১৯, ০৯:১৮ এএম

বাউফলে মরুভূমি

খেজুর বাগান করে তৈয়বুরের চমক

খেজুর বাগান করে তৈয়বুরের চমক
বাউফল উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে তৈয়বুরের বাগানের খেজুর গাছ- ছবি: জাগরণ


পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মরু অঞ্চলের খেজুর গাছের বাগান করে চমক সৃষ্টি করেছেন তৈয়বুর রহমান। চারা রোপণের মাত্র ৩ বছরের মাথায় বাগানের প্রতিটি গাছে মোচা ধরেছে। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

তৈয়বুর বাউফল উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত আনোয়ার আলী সিকদারের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
 
সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠিত খেজুর বাগানে চাকরি করেন তৈয়বুরের বন্ধু জাকির হোসেন। প্রায় ৫ বছর আগে বাংলাদেশের মাটিতে মরু অঞ্চলের খেজুর বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তৈয়বুর। বন্ধুর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ২০১৬ সালে তৈয়বুর নিজ গ্রামে খেজুর গাছের বাগান করা শুরু করেন।

বাউফলের বাগানে প্রতিটি গাছেই মোচা ধরেছে- ছবি: জাগরণ

তৈয়বুরের বন্ধু জাকির সৌদি আরব থেকে বিভিন্ন জাতের চারা সংগ্রহ করে বাংলাদেশে পাঠান। ঢাকা সাভারের জিরাবো এলাকায় তৈয়বুরের নার্সারি রয়েছে। একই এলাকার বিরুলিয়ায় ৫ বিঘা জমির উপর খেজুর গাছের বাগান করেছেন তিনি। পাশাপাশি বাউফল উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে তিনি প্রায় ১০ কাঠা জমির উপর খেজুর গাছের বাগান করেছেন। বর্তমানে ওই বাগানে ২৫০টি গাছ রয়েছে।

ঢাকা এবং বাউফলে তৈয়বুরের বাগানে প্রায় ২০ হাজার গাছ রয়েছে। বাউফলের বাগানে প্রতিটি গাছেই এ বছর মোচা ধরেছে। এ বাগানে আজওয়া, চুকারি, বারহি, ছাফওয়া, সেগাই ও মাশরূপসহ মোট ১২টি জাতের খেজুর গাছ রয়েছে।

তৈয়বুর বলেন, প্রথমে ৩০০টি গাছের চারা সৌদি আরব থেকে পাঠিয়েছেন আমার বন্ধু জাকির হোসেন। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রায় ২০ হাজার চারা সংগ্রহ করেছি। ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত দামের চারা রয়েছে আমার বাগানে। চারা রোপণের পদ্ধতি ও পরিচর্যার কৌশল আমার বন্ধুর কাছ থেকেই শিখেছি। আশা করি খুব শিগগিরই আমার বাগানে ফলন আসবে।

তিনি বলেন, আমি শখ করে সৌদি আরবের খেজুর বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন ফলনের সম্ভবনা দেখে আমি অবাক হচ্ছি। বর্তমানে কেউ খেজুর গাছের বাগান করলে আমি পরামর্শ দিয়ে তাকে সার্বিক সহায়তা করতে পারি।

 এদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও বাউফলের মাটিতে মরু অঞ্চলের খেজুর বাগানের সম্ভাবনা দেখে নতুন হিসাব কষতে শুরু করেছেন।

বাউফলের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন,  বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যের খেজুরের চাহিদা ব্যাপক। আমাদের  দেশে এই খেজুরের আশানুরূপ ফলন হলে অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি  খেজুর গাছের বাগান করে অনেক বেকার যুবক আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকেও খেজুর গাছের বাগান করতে বেকার যুবকদের উৎসাহিত করা হবে।

এএস/টিএফ