বরিশাল ও ভোলায় পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক নারীসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তাদের তিন জন মারা যান।

এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) স্ব স্ব এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন তারা। তিনটি ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সরবাড়ী গ্রামের হাবিবর হালাদারে ছেলে বাবু রাম (৪৫), ভোলা সদর উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের সিদ্দিক বেপারীর ছেলে সুমন বেপারী (৩৫) ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নিলকমল গ্রামের বাসিন্দা আফসারের স্ত্রী আসমা বেগম (২৬)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাবু রাম সোমবার সকালে উপজেলার আশোকাঠী হাসপাতাল সংলগ্ন সড়কে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করলে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তিনি মারা যান।

শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার রাসেদুল ইসলাম নিহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, ভোলার সুমন বেপারী একজন ট্রলি চালক। সোমবার নিজের ট্রলি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে ওই দিন দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর রাতে তিনি মারা যান।

অপরদিকে সোমবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নিলকমল গ্রামের গৃহবধূ আসমা রাস্তা পারাপাড়ের সময় মোটরসাইকেলে ধাক্কা লেগে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। এতে তার মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হন। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর রাতে তিনি মারা যান।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হলেও ৩ জনের  মৃত্যুই শেবাচিম হাসপাতালে হয়েছে। যে কারনে তিনটি ঘটনায় কোতয়ালী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে মৃত্যু নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ না করায় ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এসসি/