• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০১৯, ০২:২৬ পিএম

আলুর বিনিময়ে শ্রম বিক্রি নারীদের

আলুর বিনিময়ে শ্রম বিক্রি নারীদের
দুপচাঁচিয়ায় আলুর বিনিময়ে মাঠে কাজ করছেন নারী শ্রমিকরা- ছবি: জাগরণ

 

নারী দিবস আসে আবার নারী দিবস চলে যায়। এই দিবসকে ঘিরে সোচ্চারিত হয় নারীদের পূর্ণ অধিকারের কথা। দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চারিত হওয়া ধ্বনিতে নারীদের সামনে যাবার পথ এগিয়ে গেছে অনেকখানি। অথচ দুপচাঁচিয়ায় মজুরি বৈষম্যের শিকার আজও নারীরা।

শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই দিনেও দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে ফসলের মাঠে দেখা গেছে দল বেধে নারীরা শ্রমে নিয়োজিত। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা শ্রমে নিয়োজিত থাকাটা ইতিবাচক। কিন্তু নারীদের শ্রম কেনা হচ্ছে স্বল্প বেতনে।

উপজেলার আমশট্ট গ্রামের ফসলের মাঠে দল বেধে আলু তুলছিল সাফিয়া, রেখা, জরিনা, শেফালিরা। তারা জানায়, সারাদিন ক্ষেত থেকে আলু তোলার বিনিময়ে প্রত্যেকেই ১৫ কেজি আলু পেয়ে থাকে। ১৫ কেজি আলুর দাম চলতি বাজার অনুযায়ী ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। অথচ দুপচাঁচিয়া উপজেলায় একজন পুরুষ শ্রমিকের মজুরি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

সাফিয়া বলেন, আমরা অসচ্ছল দুঃখী নারী। যারা আমরা কাজ করছি তাদের মধ্য কেউ তালাকপ্রাপ্ত, কেউ বিধবা, কেউ বাবা মায়ের দায়গ্রস্ত কন্যা। জীবনের দায়ে কাজ করি। কিন্তু কাজের দামের বেলায় আমাদের ঠকায়। তবুও মালিকরা কাজে ডাকে এটাই আমাদের জন্য অনেক।

দুপচাঁচিয়া জাহানারা কামরুজ্জামান ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রাবেয়া খাতুন বলেন, নারী শ্রমিকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পৃথিবী এগিয়েছে অনেক। লিঙ্গ বৈষম্য কমে এসেছে অনেক তবে নারী-পুরুষ ভেদে মজুরি বৈষম্য এখনও প্রকট।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রে নারী-পুরুষের অধিকার সমান না হলে সামগ্রিক জনগোষ্ঠীই হবে আর্থ সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা। তাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই দিনে শেকল ভাঙার শপথ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

কেএসটি