• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০১৯, ০৯:৩৮ এএম

নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

৬ মাস অ্যাম্বুলেন্স চালক পদ শূন্য

৬ মাস অ্যাম্বুলেন্স চালক পদ শূন্য
সরকারি অ্যাম্বুলেন্স- ছবি: জাগরণ

 

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালকের পদ শূন্য প্রায় দীর্ঘ ৬ মাস। যার ফলে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা দরিদ্র অসহায় রোগীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মধ্যে পড়ছে। সময় মতো  উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পৌঁছাতে পড়তে হচ্ছে নানান বিড়ম্বনাসহ অপ্রীতিকর অবস্থায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দীর্ঘ সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়ে ছিল। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে তৎকালিন ঢাকা-১ দোহার নবাবগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহম্মেদ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূইয়া উপস্থিতিতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন  ১টি অ্যাম্বুলেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাবি হস্তান্তর করা হলেও দরিদ্র রোগীরা সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে প্রায় বঞ্চিত হয়ে থাকে।

প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকের পদটি শূন্য রয়েছ নবাবগঞ্জে। ফলে সরকারী পরিবহন ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে  নবাবগঞ্জ দোহারসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দরিদ্র রোগীরা ।

সাম্প্রতিক নবাবগঞ্জের পাশ্ববর্তী সিংগাইর উপজেলার চান্দহর এলাকা থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ৩ বছরের শিশু ইয়াসিনের পিতা আব্দুল আলিম বলেন, আমার ছেলেকে চিকিৎসক ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। জরুরি ভাবে ভাড়ায় চালিত পাবলিক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকায় যেতে অনেক  টাকা খরচ যা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। কিন্তু কি করবো হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই।  

নবাবগঞ্জের শোল্লা খতিয়া এলাকার তানিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে  উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছে চিকিৎসক। কিন্তু  সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। হাতে তেমন টাকা নেই বলে জানান।

অন্যদিকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও মালিকদের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের চলছে মন কষাকষি। মাঝে মধ্যে চলে অ্যাম্বুলেন্স ও মালিকদের কর্ম বিরতির মতো কর্মসূচিও। এতে করে দরিদ্র রোগীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদ হায়দার উজ্জল বলেন, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়ে ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণমূখী স্বাস্থ্য নীতির কল্যাণে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নবাবগঞ্জবাসী একটি নতুন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স উপহার পায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘ ৬ মাস যাবত অ্যাম্বুলেন্সটির চালকের পদ শূন্য রয়েছে। যা খুবই দুঃখ জনক। এতে সাধারণ মানুষদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। কর্তৃপক্ষের  নিকট নবাবগঞ্জবাসীর জোর দাবি শূন্যপদে দ্রুত চালক নিয়োগ দেওয়া হোক।

নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহীদুল ইসলামের এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমাদের এখানে প্রচুর রোগীর চাপ। বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তিনি আশাবাদী দ্রুত শূন্যপদে চালক নিয়োগ দেওয়া হবে।

এসএইচ/টিএফ