সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে বিজিবি-বিএসএফর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২ টায় ভোমরা স্থল বন্দর কাস্টমস হাউস সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্তে গুলি বর্ষণে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।  

বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের ২৬ সদস্য দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার মো. আরশাদুজ্জামান খান। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা বিজিবি (পিবিজিএমএস) ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার, সাতক্ষীরা নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায় লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা আসাদ ইকবাল, যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সেলিম রেজা ও রিভাইন বর্ডারগার্ড কোম্পানির অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম মিল্টন কবির।

অপরদিকে বিএসএফর ১২ সদস্যের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র কোলকাতা সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি শ্রী রাজিবা রঞ্জন শর্মা। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- স্টাফ অফিসার (এডমিন) শ্রী তারনী কুমার তিউ, কমান্ডিং অফিসার শ্রী মনোজ কুমার বানোয়াল, কমান্ডিং অফিসার জেএস সান্ধু, কমান্ডিং অফিসার শ্রী অরুন কুমার, কমান্ডিং অফিসার শ্রী সুরেন্দ্র শিং, কমান্ডিং অফিসার শ্রী রবি ভূষণ, কমান্ডিং অফিসার শ্রী বিজয় ডিমরি প্রমুখ।  

বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার  জানান, আলোচনায় ভারতীয় মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এজন্য বিএসএফকে আরও কড়া অবস্থান নিতে হবে। এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশরোধ, অবৈধ অস্ত্র পাচার এবং নারী ও শিশু পাচার রোধে দুই পক্ষই একমত পোষণ করে। 

ভারতীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, চোরাচালানিরা প্রায়ই বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা করে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফ আরও সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে  অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফ  সীমান্তের অপরাধ দমনে নিজ নিজ ভূ-খন্ডে অবস্থান করে এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া এ পতাকা বৈঠকে সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অপরাধ দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) একযোগে কাজ করবে বলে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।

এএস