চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের মহেশপুর এলাকা থেকে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে নিহত ইমরানকে জীবননগর উথলীর মোল্লাবাড়ি গ্রামের একটি বাগান থেকে ও লিটুকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সীমান্তের মহেশপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ইমরান হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কলেজ পাড়ার মৃত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রহমানের ছেলে। লিটুর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। তবে, লিটু নিহত ইমরানের সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, উথলী মোল্লাবাড়ি গ্রামের কৃষকরা সকালে মাঠে কাজ করতে গেলে ডিঙ্গেখালী মাঠের একটি ইপিল বাগানের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পড়ে খবর দেয় জীবননগর থানা পুলিশকে। খবর পেয়ে সকাল ১০ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ইমরানের মরদেহ শনাক্ত করেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি জানান, নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ইমরান হোসেন খুন হতে পারেন। অজ্ঞাত দুবর্বৃত্তরা তার মাথায় ও বুকে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যার কারণ ও খুনিদের শনাক্ত করতে পুলিশি অনুসন্ধান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল জানান, নিহত ইমরান চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মোস্ট ওয়ানটেড। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ দীর্ঘদিন হন্যে হয়ে খুঁজছিল।

অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সীমান্তের মহেশপুর অংশে নিহত লিটু নামে ইমরানের আরেক সহযোগীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এসকে/টিএফ