• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০১৯, ১১:৫৯ এএম

জাগরণে সংবাদ প্রকাশ

শরীয়তপুর শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার সম্পন্ন

শরীয়তপুর শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার সম্পন্ন

 

অবশেষে শরীয়তপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে সকল সংবাদের গুরুত্ব বিবেচনা করেননি।

সর্বশেষ ১ ফেব্রুয়ারি প্রখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান সম্পাদিত দৈনিক জাগরণ পত্রিকায় ‘বেহাল দশায় শরীয়তপুর শিল্পকলা একাডেমী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। তার পর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। শুরু হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার কাজ।

সংস্কৃতিক কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার। পাশাপাশি ছিল নতুন কমিটি গঠনের দাবি। 

শরীয়তপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ২০১৮ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে সময় মত নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় ৩ মাসের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। 

সেই কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের আহবায়ক, সহকারী কমিশনার মো. বেলাল হোসেন সদস্য সচিব, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক আব্দুস সামাদ তালুকদার এবং অনলাইন পোর্টাল শরীয়তপুর জার্নালের সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সীকে সদস্য করা হয়।

কিন্তু জেলা শিল্পকলা একাডেমির উন্নয়ন কাজে এডহক কমিটির অন্য কোন সদস্যকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা না গেলেও অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। তিনি এডহক কমিটিতে ঢোকার পর মিটিংয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ২ টন টি.আর অর্থাৎ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। শুরু হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার কাজ। এর সঙ্গে অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সীও ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। শেষ হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার কাজ। সেই সঙ্গে বোনাস হিসেবে পাওয়া যায় শিল্পকলায় ঢোকার রাস্তাটি। যা সকলের মনকে আন্দলিত করেছে।

শিল্পকলার শিক্ষার্থী মৌসুমী সুলতানা বলেন, বর্তমানে শিল্পকলা একাডেমি ভবনকে সংস্কার করা হয়েছে। আমরা এখন পরিচ্ছন্নভাবে সংস্কৃতিক চর্চা করতে পারবো।

জেলা শিল্পকলার শিক্ষক আবদুর রব কোতোয়াল বলেন, সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে শিল্পকলা একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভবনকে সংস্কার করা হয়েছে। নতুন কিছু বাদ্যযন্ত্র কেনা দরকার। বাদ্যযন্ত্র কেনা হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দানে কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।

এ ব্যাপারে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর এডহক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সী বলেন, আমি দায়িত্বটিকে দায়িত্ব হিসেবেই নিয়েছি। তাই সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনুদানকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছি। আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার করার।

বর্তমান এমপি ইকবাল হোসেন অপুর সু-দৃষ্টিতে শিল্পকলা একাডেমির সামগ্রীক পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। 

কেএসটি