• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০১৯, ০৮:৫৬ এএম

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
নবাবগঞ্জের ৪৬নং তেলেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা- ছবি: জাগরণ

 

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের ৪৬ নং তেলেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরিণত হয়েছে। আর এভাবেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে চলছে শিক্ষক সংকট, ব্যাহত হচ্ছে বর্তমান সরকারের জনবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা নীতি কার্যক্রম।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ১৯৭০ সালে তেলেঙ্গা গ্রামে ৪৬ নং তেলেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত করা হয় এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করে। টিন কাঠের ক্লাস রুমে চলত পাঠদান। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫ কক্ষ বিশিষ্ট ২টি ভবনে চলছে শিক্ষাদান। এতে প্রাক-প্রাথমিকসহ ৩টি ক্লাস রুম রয়েছে। একটি কক্ষে অফিস ও একটি জীর্ণ পরিত্যক্ত কক্ষ রয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শন ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মিত হয়। পরে ২০০৯ সালে ২ কক্ষ বিশিষ্ট আরো একটি পাকা ভবন নিয়ে বিদ্যালয়টি চলছে। এর ৩ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবনটির ভিম ও কলামে ফাটল ধরেছে। দেয়ালের গাঁ থেকে পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। কয়েকটিস্থানে দেখা দিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল। শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছে। 

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সালমা জানায়, মাথার উপরে ফাটল। তাই ছাদের ভীমের ফাঁক দেখে বেঞ্চ বসানো হয়েছে। যাতে পলেস্তারা ভেঙে শরীরে না পরে। একই শ্রেণির সুফিয়ান জানায়, শ্রেণি কক্ষের সংকট তাই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছি।

প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার বলেন, ভবন সংকট তাই ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও অফিস কক্ষ থেকে সরে যেতে পারিনি। তার উপর রয়েছে শিক্ষক সংকট। শিক্ষক বলতে আমি আর প্রাক-প্রাথমিকের অপরাজিতা চৌধুরী। সেও রয়েছে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। উপজেলা শিক্ষা অফিস খুরশিদা বেগম নামে এক শিক্ষককে অস্থায়ী নিয়োগ দিলেও সংকট কাটেনি। এতেও শিক্ষক সংকট কাটেনি। তাই এলাকার দু’জন শিক্ষিত নারী দিয়ে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, এ অবস্থা গত কয়েক বছর ধরে চলছে। পরিবেশ ভালো না থাকায় শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছে। আমি সভাপতি হওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসে তাগিদ দিচ্ছিলাম। 

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান এ বিষয়ে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নেয়া বন্ধ করা হবে। আমরা  এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ভবন পরীক্ষা করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ হলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে। 

কেএসটি