• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০১৯, ০২:৩৪ পিএম

এবার পিকআপ চাপায় ছাত্রীর পা বিচ্ছিন্ন হলো বেনাপোলে

এবার পিকআপ চাপায় ছাত্রীর পা বিচ্ছিন্ন হলো বেনাপোলে


যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নাভারনে স্কুল যাওয়ার পথে পল্লী বিদ্যুতের একটি পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোফতাহুল জান্নাত নিপা নামে এক ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ছাত্রীর সঙ্গে ভ্যানে থাকা অপর দুই শিক্ষার্থী আহত হয়।
 
বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ৯টায় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নাভারনে স্কুলের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। নিপা শার্শার নাভারন বুরুজ বাগান গ্রামের রফিকুলের মেয়ে ও বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী।  

স্থানীয় ও পুলিশ জানান, ভ্যানে তিন ছাত্রী স্কুলে যাচ্ছিল। এসময় যশোর দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা পল্লী বিদ্যুতের একটি পিকআপ ভ্যান ছাত্রীদের বহনকারী ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে তিন জন ছাত্রী ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হয়। এসময় নিপার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিপার ডান পা কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

এদিকে, এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে নাভারন অঞ্চলের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় যশোর-বেনাপোল ও যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পল্লী বিদ্যুতের সেই পিকআপটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে।

স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমান ও জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ এসএম ইব্রাহিম খলিল শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে সকাল দশটার সময় সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মন্ডল জানান, এমন ঘটনা দুঃখজনক। আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান জানান, চালকের অসতর্কতায় এই দুর্ঘটনা। সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

কেএসটি