• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০১৯, ১০:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৩, ২০১৯, ০৭:৪৮ পিএম

মুন্সিগঞ্জে শ্রেণি কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত 

মুন্সিগঞ্জে শ্রেণি কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত 
জোড়াতালির শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

মুন্সিগঞ্জ সদরের মহাকালী ইউনিয়নের দক্ষিণ কেওয়ার সাতানিখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে ৩টি কক্ষে ছয়টি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পাঠদান হচ্ছে। 

১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি। পৃথক ২টি ভবনে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলে আসছিলো। তবে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ একটি ভবন ২০১৪ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এতে বাকি ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর এ ভবনে মাত্র দুটি কক্ষ রয়েছে। এতে ছয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও শিক্ষকদের জন্য বসার জন্য কক্ষের অভাব দেখা দেয়। অগত্যা দুটি কক্ষের মধ্যে টিনসেড প্রাচীর দিয়ে ৪টি কক্ষ তৈরী করা হয়। জোড়াতালি দেয়া ৪টি কক্ষের মধ্যে একটি কক্ষ ব্যবহার করা হচ্ছে শিক্ষকদের বসার জন্য ও অফিস হিসেবে। বাকি ৩টি কক্ষে দুই শিফটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হচ্ছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা আক্তার জানান, বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ২৩১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হচ্ছে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। আর তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়া হচ্ছে বেলা সোয়া ১২টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত। 
তিনি আরো জানান, শ্রেণি কক্ষের অভাবে বিদ্যালয় ভবনের ২টি কক্ষের ভেতর টিনসেট প্রাচীর দিয়ে ৪টি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। তাতে তিনটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। অপর আরেকটি কক্ষ অফিস কাম শিক্ষকদের বসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এভাবেই কোনো রকম বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে আসছে। 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- ২টি কক্ষকে টিনসেট দিয়ে ভাগাভাগি করে চারটি কক্ষ বানানো হয়েছে। এতে গাদাগাদি করে শ্রেণিকক্ষে বসতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ছোট ছোট কক্ষ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কথাবার্তায় প্রতিটি শ্রেণিকক্ষেই এক প্রকার কোলাহল মুখর পরিবেশ হয়ে উঠে। তাই শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বিদ্যালয়ের পাঠদান মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন ভেঙ্গে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বিএস